বিজ্ঞাপন

‘মাশরাফিকে নিয়ে গর্ব করতে পারে বাংলাদেশ’

February 6, 2018 | 7:06 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কখনো সরাসরি কাজ করেননি, ব্যাট কিংবা বল হাতে নয়, তার কাজটাই ছুরি-কাঁচি হাতের। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক ঋণ জমা আছে অস্ট্রেলিয়ার শল্যচিকিৎসক ডেভিড ইয়াংয়ের কাছে। মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ আরও অনেকেরই যে তাঁর ছুরির নিচে যেতে হয়েছে!

বাংলাদেশ সফরে এসে সেই ইয়াং বড় একটা সার্টিফিকেট দিয়ে গেলেন মাশরাফিকে। বললেন, টেস্ট খেলায় বাধা দেখেন না বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেই যে চোটে পড়ে মাঠ থেকে উঠে গিয়েছিলেন, এরপর বাংলাদেশের হয়ে আর সাদা পোশাকে মাঠে নামা হয়নি মাশরাফির। তবে দুই পায়ে সাতটি অস্ত্রোপচারের দাগ নিয়ে যে এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য অনেকবারই বিশেষ করে বলেছেন ডেভিড ইয়াংয়ের নাম। আজও তা আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন।

বিজ্ঞাপন

‘আমার ছয়টি বড় অস্ত্রোপচার উনার হাত দিয়ে হয়েছে। ওপরে আল্লাহ আছেন, তবে এটা বলতে পারি এখনও যে আমি খেলছি তার উছিলা হয়তো উনি। উনিই আমার সব কিছু করেছেন। অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন কিভাবে কি করতে হবে সেই দিক নির্দেশনা সব সময় দিয়েছেন।’

মাশরাফি আরও জানান, ‘এখন এমন একটা অবস্থা হয়েছে, হাঁটুর চোটের ব্যাপারে অন্য কারো কাছ গেলে তেমন আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায় না। কেবল আমি না, আমাদের অধিকাংশ ক্রিকেটারের হাঁটু ও পিঠের চোটের অস্ত্রোপচার তিনি করেছেন। আমি বলতে পারি, তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন অদৃশ্য বন্ধু। একজন অকৃত্রিম বন্ধু।’

ইয়াংও মাশরাফিকে অনেক দিন ধরেই দেখছেন কাছ থেকে। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের ক্যারিয়ারে অবশ্য বিনয়ের সঙ্গে নিজের অবদানটা এড়িয়ে গেলেন, ‘মাশরাফি খুবই পেশাদার একজন অ্যাথলেট। তবে আমি মনে করি ওর ক্যারিয়ারে আমার অবদান এমন কিছুই নয়। ওর কয়েকটা চোটে সাহায্য করেছি কেবল। হাঁটুতে কিছু জটিল সমস্যা হয়েছিল তার। কিন্তু ওর নিবেদন এতোটাই বেশি, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পর ও দারুণভাবে সেটা সামাল দিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মাশরাফির এমন বার বার চোটে পড়াটাও বিরল একটা ব্যাপার বলে মনে করছেন, ‘এরকম তো জীবনে একবারই হয়। আমি যা মনে করি মাশরাফি খুব ভালো মনের একজন মানুষ। সাধারণ মানুষের জন্য ওর মমতা একদম নিখাদ। বাংলাদেশ ওর মতো একজন মানুষকে নিয়ে গর্ব করতে পারে। দেশের দারুণ একজন দূত সে।’

কিন্তু মাশরাফির কি টেস্টে ফেরার সম্ভাবনা দেখেন? এবার ইয়াং একটু হালকা চালেই বললেন, ‘সব দলেরই নেতা দরকার। সে সবসময় নেতা, টেস্ট দলেও ওর স্থান আছে। ওর তো সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দরকার নেই। আমাকে যদি বলা হয় ও টেস্ট খেলতে পারবে কি না আমি হ্যাঁ-ই বলব।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন