বিজ্ঞাপন

‘মাহবুব তালুকদারের প্রস্তাব অযৌক্তিক ও সাংঘর্ষিক’

October 17, 2018 | 5:29 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, নির্বাচনের সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে নিয়ে আসা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বুধবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কবিতা খানম বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপে উঠে আসা বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও কমিশনের সক্ষমতা বাড়াতে মাহবুব তালুকদার যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কমিশন সভা ১৫ অক্টোবর

 

নির্বাচনকালীন সময়ে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে নিয়ে আসার বিষয়টি মাহবুব তালুকদারের ৫ দফা প্রস্তবনায় উল্লেখ নেই- সারাবাংলার পক্ষ থেকে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে মাহবুব তালুকদারের যে প্রস্তাবনা রয়েছে সেখানে তার উল্লেখ আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে কমিশনে আলোচনা করার সময় এখনও হয়নি। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে উঠে আসা বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় আলোচনা করেছি। এর মধ্যে যেগুলো আরপিওতে সংশোধনী আনার মতো, সেগুলো আমরা আমলে নিয়েছি। ফলে এ বিষয়ে নতুন করে কমিশনে আলোচনা করা অযৌক্তিক। সরকারের সঙ্গে সংলাপের কোনো প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করি না। কারণ নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

 

নোট অব ডিসেন্টে যা লিখেছেন মাহবুব তালুকদার

 

বিজ্ঞাপন

কবিতা খানম বলেন, কমিশন সভায় যে কেউ নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারে। এটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে জন্য নতুন কিছু না। তার মানে এই নয় যে, নোট অব ডিসেন্টের কারণে কমিশনের মধ্যে কোনো বিভক্তি রয়েছে। কোনো মতবিরোধ নেই, এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই। পাঁচজনের কমিশনে যে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করতেই পারেন। এটা সাংবিধানিকভাবেই স্বীকৃত।

 

আরও পড়ুন: ইভিএমের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুবের সভা বর্জন

 

নির্বাচনী আচরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল প্রচারণা বন্ধ করা, জীবন্ত কোনো প্রাণী নিয়ে নির্বাচনে প্রচারণা চালানো যাবে না- এ রকমন ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাকিগুলোর আগের মতো রয়েছে। অর্থ্যাৎ সংসদ নির্বাচনে স্পিকার, সরকারের কোনো মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং মেয়র কিংবা এসব পদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এটা আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে কবিতা খানম বলেন, অন্য কোনো আইনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা বাবদ কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া থাকলে সেটা তিনি ভোগ করতে পারবেন। নির্বাচনে আচরণবিধি যাতে যথাযথ প্রয়োগ করা হয় সে জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে আমরা গ্রহণ করতে চাই। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আমরা কেবল আরপিও সংশোধন করেছি, প্রয়োজনে যাতে ইভিএম ব্যবহার করা যায়।

আরও পড়ুন: আবারও ইসির সভা বর্জন মাহবুব তালুকদারের

গত ১৫ অক্টোবর বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে ইসি সভা বর্জন করেন মাহবুব তালুকদার।

আরও পড়ুন: আমেরিকায় যাচ্ছেন মাহবুব তালুকদার, ফিরবেন তফসিলের আগেই

সারাবাংলা/জিএস/একে/এটি

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন