বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতা মিজানের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন পুলিশের

June 27, 2018 | 3:07 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার হওয়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে নিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ জুন) দুপুরে বিএনপি নেতা মিজানসহ ৫ জনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে নিয়ে যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উত্তরা জোনাল টিমের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম। মামলার তদন্তকারী এই কর্মকর্তা  সারাবাংলাকে বলেন, ‘মিজানুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।’

এর আগে, বুধবার (২৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে মিজানসহ ৫ জনের নামে ধানমন্ডি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ মামলার বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেন। যদিও এজাহারে মামলা হওয়ার সময় ২৬ জুন রাত ৯টা ১০ মিনিট উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল ধানমন্ডি থানাধীন কলাবাগান ক্লাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যদিও সোমবার (২৫ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে গুলশান-১ এর ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়ির ৬০২ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে মিজানকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য্য সারাবাংলাকে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টের ধারায় গুলশান থানায় মামলা দেওয়ার পর বিকেলে আদালতে তোলা হবে। কিন্তু ২৬ জুন দিন পার হয়ে গেলেও তাদের নামে কোন মামলা দেওয়া হয়নি।’

পুলিশ বলছে, ‘তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে সময় বেশি লাগায় মামলা দিতে কিছু সময় বিলম্ব হয়েছে।’

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান মিজান পূর্ব পরিকল্পিত একটি গ্রুপ তৈরি করে গাজীপুরের নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিলেন। তারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভোটারদের সাথে মিশে কিছু উটকো (ছোট) ঝামেলা বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচার করে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য মিজানের ৪ জনের ওই গ্রুপটির হাতে বিশেষভাবে তৈরি ডিভাইস সম্বলিত হাতঘড়ি দেওয়া হয়। সেই হাতঘড়ি ডিভাইসসহ চারজনকেও আটক করে ডিবি। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল গাজীপুরের নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। এজন্য তারা বিএনপির অনেক নেতার সাথে কথাও বলেছে। তবে কোন কোন নেতার সাথে কথা বলেছেন তা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলতে রাজি হয়নি ডিবির কর্মকর্তারা। আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড পেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত বের হবে বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

গুলশান থানার পুলিশের একজন উপ পরিদর্শক (এসআই) নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ‘মিজানের নির্দেশে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় আক্তার জামান নামে বিএনপির এক ব্যক্তির টিনসেড বাড়িতে বসে ওই চারজন পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় তারা মিজানের সাথে ফোনে কথা বলছিলেন। সেই রেকর্ডও গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করেছে। গুলশান-১ এর ৮ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়ির ৬০২ নম্বর ফ্লাট থেকে মিজানকে আটকের পর আশুলিয়া থেকে বাকি চারজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।’

আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মিজানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন