March 20, 2019 | 5:04 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়রের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ সড়কের আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হলে তারা ফের রাজপথে নামবেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন তিনি।
আরও পড়ুন- মেয়রের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা যে আট দফা দাবি দিয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি। এসব দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নের শর্তে আন্দোলন স্থগিত করতে রাজি হয়েছে। আমরা এই সময়ের মধ্যে তাদের সব দাবি বাস্তবায়নের যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে বিইউপির স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী তামজিদ আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ডিএনসিসি মেয়রের কার্যালয়ে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষ হলেও প্রতিনিধি দল এখনও আন্দোলনস্থল বসুন্ধরা গেট এলাকায় ফিরে আসেনি।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) শেখ নাজমুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, আলোচনার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাত দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ তথ্য শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় জানিয়ে দেবে বলে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— চালকদের লাইসেন্স দিতে ব্যবহারিক পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে, পরীক্ষা পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে; গণপরিবহনের চালকদের পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে এবং স্কুলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে; স্কুলিংয়ের সময় মালিক পক্ষকে চালকদের বেতন দিতে হবে এবং যেসব চালক পরীক্ষায় পাস করতে পারবে না, তাদের জন্য বেতনের ব্যবস্থা রেখে পুনরায় স্কুলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে; প্রাইভেট বাস কোম্পানিগুলোকে ট্যাক্স-ব্রেক দিতে হবে যেন তারা ভালো গাড়ি, ফিটনেস ও চালকদের পেছনে অর্থ ব্যয় করতে পারে; ট্রিপভিত্তিক পেমেন্ট বন্ধ করে দৈনিক বা মাসিক বেতন নির্ধারণ করতে হবে, এর মাধ্যমে উগ্র প্রতিযোগিতা থেকে শ্রমিকদের মুক্ত করতে হবে; সড়কের গুরুত্বপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যস্ত অংশে ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস নির্মাণ করতে হবে এবং নতুন ড্রাইভিং পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সিভিল বা স্টুডেন্ট কমিটি থাকতে হবে।
এছাড়াও দুর্ঘটনা হলে বাসচালকদের আক্রমণ করার যে প্রবণতা লক্ষ করা যায়, তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। লিখিত দাবিনামায় শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেবেন বলে তারা বিশ্বাস করেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই বৈঠকে ডিএনসিসি মেয়র ছাড়াও বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল ইমদাদুল বারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম, যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) শেখ নাজমুল আলম, গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসজে/ইউজে/টিআর