বিজ্ঞাপন

মে ও জুলাই মাসে দুই ধাপে ৫ সিটি নির্বাচন

March 20, 2018 | 6:25 pm

।।  গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: চলতি বছরের মে ও জুলাই মাসে দুই ধাপে ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রথম ধাপে আগামী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে গাজীপুর ও খুলনা সিটির নির্বাচন করা হচ্ছে। অন্যদিকে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইনি জঠিলতার কারণে দুই ধাপে ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম ধাপে গাজীপুর ও খুলনা এই দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ৩১ মার্চ। দ্বিতীয় ধাপে বাকি তিন সিটির নির্বাচন হবে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে। সে জন্য জুনের তৃতীয় সপ্তাহে বাকি তিন সিটি নির্বাচসেনর তফসিল ঘোষণা করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

ইসি সচিব বলেন, ‘আগামী ১৭ মে থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। তার আগেই গাজীপুর ও খুলনা সিটির নির্বাচন করতে হবে। আগস্ট হল শোকের মাস তাই ওই মাসে কোনো নির্বাচন করা যাবে না। তাই বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী এই তিন সিটির নির্বাচন জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে করা হচ্ছে। সে জন্য রমজান ঈদের পরপরই বাকি তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি রয়েছে।’

ইসি সূত্র জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। তার ৬ মাসের মধ্যে এই সিটির নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে গত ৮ মার্চ থেকে ৬ মাসের দিন গণনা শুরু হয়েছে। সে হিসেব আগামী ৪ সেপ্টেম্বের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অন্যদিকে আগামী ৩০ মার্চ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে করতে হবে খুলনা সিটি নির্বাচন। ফলে আগামী ৩১ মার্চ এই দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে গত ২০১৩ সালের ১৫ জুন একইদিনে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নির্বাচনের পর ওই তিন সিটির প্রথম সভা হয়েছিল যথাক্রমে ৬, ৯ ও ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সভার অনুষ্ঠিত হওয়ার ৬ মাসের পূর্বে যেকোনো দিন নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে আগামী ৫, ৮ ও ২৩ অক্টোবরের মধ্যে এই তিন সিটির নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু আগামী ডিসেম্বর মাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে জুলাই মাসেই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচন করতে চাচ্ছে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, আগামী বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে ২০১৮ সালের অক্টোবর/নভেম্বর মাসে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে, ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চায় ইসি। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ৫/৬ মাস আগে থেকে বড় কোনো নির্বাচনে হাত দিতে চাচ্ছে না ইসি। ফলে জুলাই মাসের মধ্যে ৫ সিটির নির্বাচন করতে চায় ইসি।

বিজ্ঞাপন

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি সরকার গঠন করা হয়। একই বছরের ২৯ জানুয়ারি দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে। হিসাবে বর্তমান সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির পূর্বের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন