বিজ্ঞাপন

`মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অর্থপাচারের ঝুঁকি বাড়ছে’

July 14, 2018 | 2:07 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে আমরা এটাকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের আরও সর্তকমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

শনিবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাস অর্থায়ন প্রতিরাধ’ শীর্ষক এক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, ব্যাংক এশিয়ার ডিএমডি মো. বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কনসালট্যান্ট দেব প্রসাদ দেবনাথসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রফতানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। এটা কেন হচ্ছে, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা- সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নজর রাখছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের কার্যক্রমে মানুষের মাঝে কিছুটা সন্দেহ ও অবিশ্বাস দেখা দিয়েছে। এটি ব্যাংকের জন্য একটি অশনী সংকেত। এসব সমস্যা কাটিয়ে সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সেজন্য সঠিক জায়গায সঠিক লোককে নিয়োগ দিতে হবে।

ফজলে কবির বলেন, সম্পদের সুষম ব্যবহার ও অপচয় রোধের পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ব্যবসাবান্ধব নীতি ও সংস্কারের কার্যক্রম নেওয়ার ফলে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। এই অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখা বাংলাদেশ সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কার্যক্রমের কারণে দেশ থেকে অর্থপাচারের পরিমাণ অনেক কমে গেছে। সাম্প্রতিককালে সুইচ ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখার পরিমাণ কমে যাওয়া তার একটি বড় প্রমাণ।’

তিনি বলেন, মানি লল্ডারিংয়ে শীর্ষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ  একসময় ৫২তম থাকলেও বর্তমানে ৮২তম স্থানে চলে এসেছে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে। তিনি আরও বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের অবস্থান বেশ ভালো। এটিকে ধরে রাখতে অপরাধমুক্ত, স্থিতিশীল ও দক্ষ ব্যাংকিং ব্যবস্থা বাংলাদেশ সমাজ ব্যবস্থার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এখন বিশ্বজুড়ে একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

দেব প্রসাদ দেবনাথ বলেন, মানি লন্ডারিং মাধ্যমে অর্থপাচারের পরিমাণের দিক থেকে আমাদের অবস্থান ভারতের নিচে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাইবার ক্রাইম। এশিয়ার দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে আইনের শাসন ও সুশাসনের কিছুটা ঘাটতি থাকায় এখানে এই ঝুঁকির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

ব্যাংক এশিয়ার ডিএমডি মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, দেশ-বিদেশে অর্থায়ন কর্মকাণ্ডের বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থ সন্ত্রাসের পরিমাণও দিনদিন বাড়ছে। বাংলাদেশও এই ঝুঁকির বাইরে নয়।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন