বিজ্ঞাপন

মৌলভবাজারে হাতির ভয়ে পালাচ্ছে গ্রামবাসী

August 20, 2018 | 9:42 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজার: বন্য হাতির তাণ্ডবে র্নিঘুম রাত কাটাচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কয়েক শ পরিবার। হাতির দলটি জমির ধানসহ নানা জাতের গাছপালা ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। তাদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ইতোমধ্যে রাত জেগে মশাল জ্বালিয়ে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী। ভয়ে এলাকা ছেড়ে কাছাকাছি আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই দিনে এবং রাতে পাহাড় থেকে বন্য হাতির এই দলটি গ্রামে ঢুকে জমির ফসল থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি এবং গাছ-গাছালির ব্যাপক ক্ষতি করছে। গোয়ালবাড়ী এলাকাটি জুড়ী রেঞ্জের অধিনস্থ লাঠিটিলা বিটের আওতায় পড়েছে। এই গ্রামে প্রায় একশো পরিবারের বসবাস। মরিয়ম বিবি বয়স ষাটের কোঠায় আলাপকালে তিনি জানান, প্রায় আট-দশ দিন আগে ছয়টি বন্য হাতি গ্রামে ঢুকে প্রবেশ করে। হাতির দলটি পাকা আউস ধান, সবজি, কলা, পেঁপে, লাউসহ নানা প্রজাতির গাছপালা নষ্ট করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, এলাকার প্রায় ২৫-৩০ বিঘা জমির আউশ ধান বন্য হাতির দল নষ্ট করেছে। অনেকের সবজি এবং ফলের গাছ মুড়িয়ে গাছপালা ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। তারা বলেন, হাতির ভয়ে রাতে এলাকার লোকজন মশাল জ্বেলে বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছেন। হাতির আক্রমণের ভয়ে ১৫-২০টি পরিবার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বন বিভাগের কর্মকর্তা ও গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কথা হয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন এর সঙ্গে, তিনি সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, এ বিষয়টি এ সপ্তাহে উপজেলা পরিষদের আইন-শৃংখলা রক্ষা কমিটির মাসিক সভায় তিনি উত্থাপন করেছেন। বন বিভাগের কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

বন বিভাগের জুড়ী বিট কর্মকর্তা শাখায়েত হোসেন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, এ বিষয়টি আমরা অবগত আছি, স্থানীয় লোকজন আমাদের জানিয়েছেন, কিছু বন্য হাতি বেলবাড়ী এলাকায় ঢুকে জমি গাছ পালা নষ্ট করে দিচ্ছেন। আমরা লোকজনকে রাতে মশাল জ্বালিয়ে পাহারা দেয়ার জন্য পরার্মশ দিয়েছি। হাতির দল যাতে লোকালয়ে না ঢুকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বন্দুকের ফাঁকা গুলি ছুড়ে হাতিদের তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন