বিজ্ঞাপন

যুক্তফ্রন্টকে স্বাগত জানাল বিএনপি

December 6, 2017 | 1:21 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সারাবাংলা

বিজ্ঞাপন

বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজ চৌধুরী (বি চৌধুরী)-কে প্রধান করে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’কে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি।

বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অবশ্যই এই জোট গঠনে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’

সোমবার (০৪ ডিসেম্বর রাতে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে প্রধান করে নতুন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়। নতুন এই জোটে বি চৌধুরী নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ, আ স ম আব্দুর রব নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং মাহমুদুর রহমান মান্না নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, খুব শিগ্‌গিরই আরও কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন তাদের এই জোটে অন্তর্ভুক্ত হবে। জোটের প্রাথমিক ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে— গণতন্ত্র, সাম্য, ভোটাধিকার রক্ষাই নতুন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

নতুন এই জোট সম্পর্কে একজন সাংবাদিক বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘২০০৮ সালের পর আমরা যখন ২০ দলীয় জোট গঠন করি, তখন যে ঘোষণাপত্র দিয়েছিলাম, সেখানে পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম, আমাদের এই জোট তৈরি হচ্ছে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য। আমাদের এই জোট তৈরি করা হয়েছে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। এই জন্য আন্দোলন সংগ্রামের কথা আমরা বলেছি, করেছিও।’

‘তখনই আমরা বলেছিলাম, এই জোটে সকল রাজনৈতিক দল— যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবে, যারা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবে, তারা এই জোটে যোগ দেবে। সকলকে আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম এই জোটে আসার জন্য। পরবর্তীকালে কয়েকটি রাজনৈতিক দল  আরেকটি জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিল, সেটাকেও স্বাগত জানিয়েছিলাম। আজকে অবশ্যই এই জোট গঠনে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি’— বলেন ফখরুল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আশা করছি, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও সত্যিকার অর্থেই জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই জোট দায়িত্ব পালন করবে। এবং আমরা অতীতেও বলেছি, আবারও বলব, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য একটা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য খুব জরুরি।’

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে আওয়ামী-বিএনপির সৌহার্দ্যপূর্ণ চীন সফর বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক কোনো বার্তা দিচ্ছে কি-না? —জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সেখানে পার্টিকুলার কোনো দেশের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়নি। একটা সুন্দর পৃথিবী গড়ার রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে।’

আগামী নির্বাচনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো ঐক্য বিএনপির হবে কি-না?  —এ প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘রাজনীতিতে কোনো সম্ভবনাকেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদি কিছু ঘটে, সময় মতো আপনারা জানতে পারবেন।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবীব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শামা ওবায়েদ, এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল মালেক প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন