বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের নারীরাও বঞ্চিত পাঁচটি অধিকার থেকে

September 21, 2018 | 12:32 pm

রোকেয়া সরণি ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

১৯২০ সালের ২৬ আগস্ট আমেরিকান নারীরা প্রথম ভোটাধিকার অর্জন করে। তাই এই দিনটিকে নারীদের সমঅধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এরপর একশ বছর পেরুলেও বিশ্বের সবচাইতে শক্তিধর দেশ আমেরিকাতেও নারীরা সবক্ষেত্রে সমঅধিকার পাননা। অন্তত পাঁচটি ক্ষেত্রে সমান অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন সেদেশের মেয়েরা। সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি সেই জায়গাগুলি হল-

রিপ্রোডাক্টিভ চয়েস বা প্রজনন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
আমেরিকায় ‘ডমেস্টিক গ্যাগ রুল’ চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই আইন চালু হলে গর্ভপাত ঘটানো কিংবা গর্ভপাত সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় সরকার আর কোন অর্থ সাহায্য দেবে না।

এদিকে এই বিল পাশ সংক্রান্ত প্রশ্নে জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন্থনি কেনেডির অবসর গ্রহণের পর তার জায়গায় বিচারপতি ব্রেট কাভানাকে মনোয়ন দেওয়া হতে পারে এমন সম্ভাবনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। মানবাধিকার কর্মীরা বলেন এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণা দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে শুধুমাত্র গর্ভপাতবিরোধী বিচারপতিদেরই নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদের ধারণা কাভানাকে তার গর্ভপাতবিরোধী চিন্তার জন্যই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি
২০১৭ সালে চালু হওয়া ফেয়ার পে এবং সেইফ ওয়ার্কপ্লেস এক্সিকিউটিভ অর্ডার চালু করা থেকে পিছিয়ে আসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই আইনের ফলে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হন যারা তারা সুবিধা পেতেন।

একটিভিস্ট তারানা ব্রুকের দ্বারা #মি টু আন্দোলন শুরুর পর একের পর এক কর্মক্ষেত্র বের হয়ে আসে যেখানে বিশেষত নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। দ্য ফাইনানশিয়াল টাইম রিপোর্ট করে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনী সংস্থা এবং মিডিয়া চল্লিশ শতাংশ নারী কোন না কোন ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তথ্য প্রযুক্তি এবং কৃষিখাতেও নারীরা হয়রানির শিকার হন বলে খবরে প্রকাশিত হয়। নতুন এই আইনটি প্রচলিত হলে হয়রানির শিকার নারীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম হত। কিন্তু ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের পর সেই সুযোগ কমে গেল।

বেতন সমতা
মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে ট্রাম্প প্রশাসনের ইকুয়াল পে প্রোটেকশনস আইন থেকে পিছিয়ে আসার ফলে নারীরা কর্মচারিরা তাদের পুরুষ সহকর্মীদের সমান বেতন পাওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গার্হস্থ্য সহিংসতা
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামলে গার্হস্থ্য নির্যাতন থেকে রক্ষা পেয়েছেন এমন নারীরা নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। কারণ ফেদারেল বা কেন্দ্রীয় সরকার এই নারীদের সরকারিভাবে যেসব সাহায্য করা হত সেটা সীমিত করে দিয়েছে। তারা ন্যাশনাল ডমেস্টিক ভায়োলেন্স হটলাইন এবং ভায়োলেন্স এগেইস্ট উইমেন অ্যাক্টে সরকারি অর্থ সাহায্যও কমিয়ে দিয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্যসেবার খরচ কমানোর ফলে গার্হস্থ্য সহিংসতার শিকার নারীদের কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বীমা সেবা পাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ সহিংসতা থেকে উদ্ধার হওয়া নারীদেরকে আইনি সুবিধা পাওয়ার শ্রেণিভুক্ত করা হয়নি।

নারীদের স্বাস্থসেবা
ন্যাশনাল ল সেন্টার সতর্ক দিয়ে বলেছে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত ২০১৯ সালের বাজেটে নারীদের স্বাস্থ্যসেবা সিরিয়াস ধরণের হুমকির মুখে আছে।
গর্ভবতী হওয়ার কারণে, গার্হস্থ নির্যাতনের শিকার হওয়ার ফলে কিংবা সিজারিয়ান সেকশনের ফলে কয়েক লক্ষ নারী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে।

সবসময় গণতন্ত্র ও সমঅধিকারের কথা বলা আমেরিকায় বর্তমানে নারীরা সমঅধিকারের প্রশ্নে এমন সব হুমকির মুখে থাকলেও আশার কথা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হচ্ছে।

সারাবাংলা/আরএফ/এসএস/টিসি

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন