বিজ্ঞাপন

যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা নিয়ে তুলকালাম, পুলিশের গুলি

February 15, 2019 | 11:10 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। গ্রেফতারের পর ওই যুবলীগ নেতার সমর্থকেরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় পুলিশকে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালাতে হয়।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনার পর এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফুলতলা বাজার থেকে ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওহিদ চৌধুরী তৌহিদকে একটি মাদকের মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। ওহিদ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ইদ্রিসের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

ওহিদকে আটকের খবর পেয়ে ইদ্রিসের অনুসারী ও কর্মী-সমর্থকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাজারে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা ওহিদকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বার আউলিয়া মাজার সংলগ্ন ইদ্রিসের মালিকানাধীন ফার্মেসিতে এনে রাখে।

এই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ বার আউলিয়া মাজারের আশপাশে অবস্থান নেয়। পুলিশ ইদ্রিসের দোকানে প্রবেশের চেষ্টা করলে কয়েক’শ কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ করে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। কর্মী-সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুলিশ দোকানে ঢুকে ইদ্রিসের সামনে থেকে ওহিদ এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

তবে তাদের নিয়ে যাবার সময় আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আবারও গুলিবর্ষণ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। এতে কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

মো. ইদ্রিস সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিভিল পোশাক পরিহিত দুজন পুলিশ এসে আমাদের যুবলীগ নেতা ওহিদকে গ্রেফতার করেছিল। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। পুলিশ অতর্কিতে গুলি করে আমার দোকানে ঢুকে ওহিদ ও শাহাবুদ্দিনকে আটক করে নিয়ে গেছে।’

অভিযানে থাকা সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) এইচ এম মশিউদ্দৌলা রেজা সারাবাংলাকে বলেন, ‘মাদক মামলায় একজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠিয়ে তাকে আবারও গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। কয়েক রাউণ্ড গুলিবর্ষণ করতে হয়েছে।’

মো. ইদ্রিস এবং গ্রেফতার হওয়া নেতারা সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন