বিজ্ঞাপন

যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে ঢাবিতে ক্ষোভ

January 17, 2018 | 5:21 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিক্ষুব্ধরা জড়িতদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা কলাভবনে প্রক্টর গোলাম রব্বানীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি দোষী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিষ্কার না করে তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের সামনে গেলে সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এ সময় আন্দোলনে থাকা কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যৌন হয়রানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল শাখার সভাপতি আল-আমিন, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান সামি, সোহানুর রহমান, গোলাম সারোয়ার এই যৌন নিপীড়ন করেন বলে তাদের অভিযোগ। কিন্তু প্রক্টরকে বিষয়টি জানানোর পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার দুইদিনের মাথায় বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। তারা এ সময় কলাভবনের কলাপসিবল গেট ও বেশ কয়েকটি জানালায় ভাঙচুর চালান।

এ সময় প্রশাসনকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে আসেন। একই দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নও একটি মিছিল বের করে। মিছিল শেষে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাদের দেখে প্রক্টর কার্যালয়ের কলাপসিবল গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানীকে তার কার্যালয়ের সামনে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তারা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- যৌন নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা, তদন্ত কমিটিতে ছাত্রদের দুইজন প্রতিনিধি রাখা এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া।

অবরুদ্ধ থাকার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রক্টর গোলাম রব্বানী। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন।

কিন্তু বিক্ষুব্ধরা প্রক্টরের আশ্বাস মানেননি। ফলে প্রক্টর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কার্যালয়ে যান।

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন