বিজ্ঞাপন

রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডের কথা বলতে সংসদে যেতে চান উমা মুহুরী

January 19, 2019 | 1:02 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় বসার মাত্র দেড় মাসের মাথায় চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গোপাল কৃঞ্চ মুহুরীকে। নিজ ঘরে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে বিভৎসভাবে এই শিক্ষাবিদকে হত্যার ঘটনা নিয়ে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। ঘটনাস্থলে এসে ধাওয়ার শিকার হয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

চোখের সামনে স্বামী খুন হওয়ার রক্তাক্ত, দুঃসহ স্মৃতি ১৮ বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক কর্মকর্তা উমা মুহুরী। স্বামী হারানোর শোকস্মৃতি নিয়ে সংসদে যেতে চান তিনি। জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম।

বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমা রাণী শীলের পর স্বামীহারা উমা মুহুরীর সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ হওয়ার আগ্রহ নিয়ে বন্দরনগরীতে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উমা মুহুরীর পক্ষে তার মেয়ে সুদীপা মুহুরী ঢাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে ফরম জমা দেন। ফরমে গোপাল কৃঞ্চ মুহুরীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও বিচার প্রক্রিয়া এবং শিক্ষাবিদ স্বামীর সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ জীবনযাপনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে উমা মুহুরী জানিয়েছেন।

উমা মুহুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে যে মৌলবাদী শক্তি ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রত্যক্ষ শিকার আমার স্বামী ও আমার পরিবার। এই সন্ত্রাসের শিকার হয়ে স্বামী হারিয়েছি আমি। আমার সন্তানরা তাদের বাবা হারিয়েছে। কী দুঃসহভাবে আমরা বেঁচে আছি, সেটা শুধু আমরা জানি। বিএনপি-জামায়াতের এই দুঃশাসনের কথা বলতে আমি সংসদে যেতে চাই। আশা করি, জাতির জনকের কন্যা আমাকে সংসদে যাবার সুযোগ দেবেন।’

২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের বাসায় ঢুকে নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে খুন করে ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর নাজিরহাট কলেজ নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া ছাত্রশিবিরের সঙ্গে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে পরবর্তীতে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনায় গোপাল কৃঞ্চ মুহুরীর স্ত্রী রেলওয়ের তৎকালীন অডিট বিভাগের কর্মকর্তা উমা মুহুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। বিচার শেষে ছাত্রশিবিরের ক্যাডার গিট্টু নাসির, তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, আজম ও আলমগীর কবির ওরফে বাইট্যা আলমগীরের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। পরবর্তীতে গিট্টু নাসির ক্রসফায়ারে নিহত হয়। আসামি মহিউদ্দিন ওরফে মাইন উদ্দীন, হাবিব খান, শাজাহান এবং সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

মুক্তিযোদ্ধা গোপাল কৃঞ্চ মুহুরী আমৃত্যু রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন