বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটিতে গুলিতে নিহত ৭, দোষারোপের বৃত্তে আঞ্চলিক ৩ দল

March 19, 2019 | 1:56 am

প্রান্ত রনি, রাঙামাটি

।।ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ সাতজন নিহতের ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করছে আঞ্চলিক দলগুলো সোমবার (১৮ মার্চ) নির্বাচন শেষে ফেরার সময় তিন কেন্দ্রের নির্বাচনি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের কংলাক, মাচালং ও বাঘাইহাট কেন্দ্রের নির্বাচনি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপজেলা সদরে ফেরার পথে তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ সদস্যসহ আহত হন ১৬ জন। আহত ১৪ জনকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্য দুইজন উপজেলা স্বাস্থ্য চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে, হামলার ঘটনায় আঞ্চলিক দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা অভিযোগ করেছেন, সন্তু লারমার জেএসএস’র প্রার্থী বড়ঋষি চাকমা নিশ্চিত পরাজয় জেনে সন্ধ্যায় সরকারি কাজে নিয়োজিতদের ওপর এ নৃশংস হামলা চালিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি এ হামলার জন্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্বাচনি কর্মকর্তাহ নিহত ৭

তবে সুদর্শনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ওই এলাকায় আমাদের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম নেই। ওইটা পুরোটাই ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকা।’

বিজ্ঞাপন

‘আমরা সকালেই নির্বাচন বর্জন করেছি এবং লিখিতভাবে আমাদের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা কেন এমন কাজ করব?’ বলেন ত্রিদিব চাকমা।

অন্যদিকে ইউপিডিএফ এর মুখপাত্র মাইকেল চাকমা বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে আমাদের কোনো প্রার্থী ছিল না। আমরা কেন এ কাজ করতে যাব?’

সারাবাংলা/আরএ/একে

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন