বিজ্ঞাপন

রাজীবকে ডিএমসিএইচে নেওয়া হয়েছে

April 4, 2018 | 4:37 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দুই বাসের বেপরোয়া নিষ্ঠুরতায় হাত হারানো রাজীব হোসেনকে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজীবের মামা, খালাসহ কয়েকজন আত্মীয় তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ডিএমসিএইচ পৌঁছেন। তাকে ১০১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজীবের খালা জাহানারা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, শমরিতা হাসপাতালের খরচের সঙ্গে আমরা কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ঔষধপত্র ছাড়াই হাসপাতালের বিল এসেছে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, ৩৭ হাজার টাকা জমা নিয়ে বাকি টাকা পরে পরিশোধ করা হবে বলে লিখিত দিলে রাজীবকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এতো খরচ আমাদের পক্ষে নির্বাহ করা সম্ভব ছিল না। তাই কম খরচের জন্য রাজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ভর্তির আনুষ্ঠানিকতা শেষে ডিএমসি হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জাহানারা বেগমকে জানান, রাজীবের শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বের হয়ে গেছে। এখনও তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন। এছাড়া সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করাও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল অর্থপেডিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান জানান, রাজিবকে অর্থপেডিক্স বিভাগের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ইউনিট ১ এ ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজিবের আপাতত চিকিৎসা হচ্ছে ড্রেসিং। সাথে হাই এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য ওষুধ। পরবর্তীতে তার প্লাস্টিক সার্জারির দরকার হলে সেটা করা হবে। তবে এখনও রাজিবকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) প্রতিদিনের মতো বাসে করে কলেজে যাচ্ছিলেন তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব। রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে দুইটি বাসের বেপরোয়া নিষ্ঠুরতায় ডান হাত হারান। রাজীব থাকতেন যাত্রাবাড়ীর মিরহাজিরবাগের একটি মেসে। মা-বাবা হারানো রাজীবের সামনে এগিয়ে যাবার একমাত্র পথই ছিল পড়াশোনা। কষ্টেসৃষ্টে আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন।

এই ঘটনার পর বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুটি বাস আটক করে থানায় আনা হয়। দুই বাসেরই চালক ও চালকের সহকারীরা পালিয়ে যান। পরে বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রাজীবের চাচা আল আমিন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রাজীবের মা-বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। বাবা হেলালউদ্দীন। তিন ভাইয়ের মধ্যে রাজীব সবার বড়। বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের দাসপাড়ায়। রাজীব টিউশনি করে এবং চাচা, খালাসহ সবার সহযোগিতায় পড়াশোনা করছিলেন।

সারাবাংলা/জেএ/এমআইএস/এমআই

অারও পড়ুন:

রাজিবকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয় : হাইকোর্ট

রাজিবের দুর্ঘটনায় দুই বাসের চালক গ্রেফতার

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন