বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে বাংলাদেশ

October 20, 2018 | 1:42 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

নিউইয়র্ক : মানবাধিকার রক্ষার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কারণেই সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়ে অসহায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনের আওতাভুক্ত তৃতীয় কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক এক আলোচনায় নিজের বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ও চরমভাবে নিগৃহীত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে মানবিক ঔদার্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই শক্ত অবস্থান এবং আশ্রয়দানের ঘটনাকে বিশ্বে মানবতা রক্ষার ক্ষেত্রে বিরল দৃষ্টান্ত।’

বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার মুলনীতি ও আদর্শসমূহ সন্নিবেশিত রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষার এই সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শিকার মানুষদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছে। যেমনটি আমাদের জনগণের উপর সংঘটিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়।’

বিজ্ঞাপন

এসময় ফিলিস্তিনের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘণের বিরূদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ওআইসির সভাপতি হিসেবে ফিলিস্তিন প্রশ্নের ন্যায়সঙ্গত সমাধানে নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘জনগণের অধিকার রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অসমতা, ভয় ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে চলেছেন। যেখানে সকল নাগরিক মর্যাদা ও সম্মানের সাথে বসবাস করবে, যেখানে থাকবে না কোনো সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনা।’

শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘সংখ্যালঘু, ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে আমরা সদা তৎপর এবং এক্ষেত্রে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তথাপি এ জাতীয় কোন ঘটনা ঘটলে তা দ্রুততার সাথে মোকাবিলা করতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের সিভিল সোসাইটি, এনজিও এবং গণমাধ্যমের স্বপ্রণোদিত ও গঠনমূলক ভূমিকা এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে।’

বিজ্ঞাপন

২০১৯-২০২১ মেয়াদে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচিত করে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত মাসুদ সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে ধন্যবাদ জানান। ন্যায় ও সমতাভিত্তিক এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘের মাধ্যমে বহুপক্ষবাদ ও বহুপাক্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী, সংরক্ষণ ও অগ্রগামী করতে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা পূনর্ব্যক্ত করেন।

সারাবাংলা/এসএমএন

 

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন