July 23, 2018 | 12:55 pm
মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে আবিষ্কার হয়েছিল লিস্টারিনের। তাছাড়া শুরুর দিকে সার্জিক্যাল এন্টিসেপটিক হিসেবেও ব্যবহৃত হত এটি। সত্তর দশকের শুরুর দিকে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বাজারজাত শুরু হয় লিস্টারিনের। আজকাল মাউথওয়াশ ছাড়াও নানাভাবে লিস্টারিন ব্যবহার করা হয়। আসুন দেখে নেই প্রাত্যহিক জীবনযাপনে আর কী কী ভাবে লিস্টারিন ব্যবহার করতে পারি আমরা।
নতুন টুথব্রাশ মেঝেতে পড়ে গেছে। ফেলে দিতেও মায়া লাগছে আবার হুট করে আরেকটা কিনে আনারও সময় নাই। এক্ষেত্রে টুথব্রাশ টা কিছুটা লিস্টারিনে ডুবিয়ে কয়েকঘন্টা ফেলে রাখলেই তা জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে।
অনেকসময়ই ডিটারজেন্ট দিয়ে টয়েলেট সিট কিংবা প্যান পরিষ্কার করি আমরা। এটা উপরের ময়লা পরিষ্কার করলেও জীবাণুমুক্ত করতে পারে না। টয়লেট সিট থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে কিছুটা লিস্টারিন দিয়ে তারপর টয়লেট ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন। এটা জীবাণু দূর করার পাশাপাশি দুর্গন্ধও দূর করবে।
অনেকসময়ই দেখা যায় দীর্ঘদিনের অব্যবহারে কিংবা বর্ষার দিন ব্যাগের ভেতরে গন্ধ হয়। এই গন্ধ দূর করতে একটা পেপার টাওয়েল বা টিস্যু লিস্টারিনে ভিজিয়ে ব্যাগের মধ্যে কিছুক্ষণ রেখে দিন। ব্যাগের গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
মুখের যে যে অংশে একনে বা ব্রণ আছে সেখানে তুলায় ভিজিয়ে লিস্টারিন মাখুন দিনে দুইবার। এতে করে ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হবে, তাই ব্রণ দূর করবে। তাছাড়া আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়াবে লিস্টারিন। একইভাবে তুলায় লিস্টারিন নিয়ে বাহুমূলেও ঘষে লাগাতে পারেন। এতে করে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হবে।
সারাবাংলা/আরএফ