বিজ্ঞাপন

শক্তি দেখিয়েছে বেলজিয়াম, বিপদ আছে জার্মানির কপালে

June 18, 2018 | 11:19 pm

আব্দুল আজীজ, সাবেক ফিফা রেফারি

বিজ্ঞাপন

এশিয়ার দলগুলোর একমাত্র জয় পেয়েছে ইরান। যদিও তাদের খেলা মন ভরাতে পারে নি, বরং মরক্কো সেদিন শ্রেয়তর দল হয়েও জিততে পারে নি। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের খেলা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। তারমধ্যে খেলে ফেললো দক্ষিণ কোরিয়া সুইডেনের সাথে।

সুইডেন হচ্ছে সেই দল যাদের কারণে বিশ্বকাপে ইতালি আসতে পারে নি। প্লে-অফে যখন সুইডেন আর ইতালি একই সাথে খেলা হয় ভাবিনি ইতালি বাদ যাবে। এমনকি সুইডেনের মাঠে ১-০ গোলে ইতালি হারলেও ধারণা ছিল শেষ পর্যন্ত পেরে যাবে। কিন্তু ইতালি ১৮০ মিনিটেই কোন গোল দিতে পারে নি।

দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রতিনিধি। সব থেকে ভাল করেছিল নিজেদের মাঠে ২০০২ বিশ্বকাপে। সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়ে মাইকেল বালাকের গোলে জার্মানীর কাছে হেরে যায়।

বিজ্ঞাপন

সুইডেন আর কোরিয়া খেলা দেখে এটাই অনুমান করছিলাম এই গ্রুপে জার্মানীর অবস্থা শেষে কী দাঁড়াবে। ধারণা করেছিলাম সুইডেন জিতবে। হতে পারে সেটা ১-০ বা ২-১।। সুইডেন জিতল ১ মাত্র গোলে। পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোল।

জার্মানীর জন্য এখন টুর্নামেন্টে অনেক কঠিন অবস্থান। পরের খেলায় সুইডেনের সাথে হারলেই বিজায় ঘণ্টা বেজে উঠবে। সুইডেন ছেড়ে কথা বলার কথা না। একবার জার্মানী চার গোলে এগিয়ে থেকেও সুইডেনকে হারাতে পারে নি, সুইডেন চার গোল ফিরিয়ে দিয়েছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এক খেলা ছিল সেটি।

দক্ষিণ কোরিয়ার খেলা বাকী মেক্সিকো আর জার্মানীর সাথে। খুব বেশি সম্ভাবনা দেখছি না। এদের সাথে রেকর্ডও ভাল না কোরিয়ার। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে কোরিয়া ৩-২ গোলে হেরেছিল জার্মানীর কাছে। ১৯৯৮ সালে মেক্সিকোর কাছে হেরেছিল ৩-১ এ। এর থেকে ভাল রেজাল্ট তারা করবে বলে মনে হয় না।

বিজ্ঞাপন

বেলজিয়াম এবারে অনেক শক্তিশালী দল। শক্তির পরিচয় তারা পানামাকে হারিয়েছে। লুকাকু ২ গোল দিল। পরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ওর দিকে তাকিয়ে থাকবে বেলজিয়াম। পানামা সুযোগ সৃষ্টি করলেও গোল দিতে পারে নি সম্ভবত অভিজ্ঞতার অভাবে।

শ্রুতিলিখনঃ রাসয়াত রহমান জিকো

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন