বিজ্ঞাপন

শিশু আইনের সংশোধনী খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে : রাষ্ট্রপক্ষ

January 15, 2018 | 6:04 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচার কোন আইনে, কোন আদালতে হবে, তা স্পষ্ট করতে আইনটির সংশোধিত খসড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে অগ্রগতি প্রতিবেদনে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও সহিদুল করিম হাইকোর্ট বেঞ্চে আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের এ তথ্য তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। এ সময় খসড়া সংশোধনী প্রস্তাবও আদালতে তুলে ধরা হয়।

আদালত ১২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে অস্পষ্টতা দূর করে শিশু আইন-২০১৩ চলতি সংসদ অধিবেশনেই হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করে খসড়াটি নথিভুক্ত করে।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ে তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহিউদ্দিন শামীম।

গত বছরের ১২ নভেম্বর হাইকোর্ট শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচার কোন আইনে, কোন আদালতে হবে, তা স্পষ্ট করতে শিশু আইন-২০১৩ সংশোধনে সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর শিশু আইনের অস্পষ্টতা নিরসনে সংশোধনের অগ্রগতি জানতে সমাজ কল্যাণ সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয়ের আইন প্রণয়ন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের (ড্রাফটিং উইং) সচিবকে তলব করে হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

সে অনুযায়ী গতবছরের ১২ নভেম্বর দুই সচিব আদালতে হাজির হয়ে তাদের ব্যাখ্যা দেন। এরপর আদালত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন শামীম পরে সাংবাদিকদের বলেন, `শিশু আইন, ২০১৩ এর অস্পষ্টতা দূর করতে একটি সংশোধিত খসড়া আইন মন্ত্রণালয় থেকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সেটি অ্যাপ্রোভ করলে খসড়াটি সংসদে উঠবে।’

এ আইনজীবী বলেন, `আইনটির অস্পষ্টতা দূর সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত ১২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে বলেছে, ‘আশা করি চলতি অধিবেশনে তা হয়ে যাবে।’

বিদ্যমান আইনটির ‘শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীর একত্রে চার্জশীট প্রদান নিষিদ্ধ’ ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ২৩৯ অথবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, শিশুকে কোন প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীর সহিত একসঙ্গে কোন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করিয়া একত্রে চার্জশিট প্রদান করা যাইবে না।

বিজ্ঞাপন

সংশোধিত খসড়ায় এই ধারাটির সংশোধন করে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ রিপোর্ট বা অনুসন্ধান প্রতিবেদন পৃথকভাবে প্রস্তুত ও আমলে গ্রহণ। -(১) ফৌজদারী কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অপরাধ সংঘটনে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু জড়িত থাকিলে পুলিশ রিপোর্ট বা ক্ষেত্রমত, অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুর জন্য পৃথকভাবে প্রস্তুত করিয়া দাখিল করিতে হইবে।

সারাবাংলা/এজেডকে/টিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন