বিজ্ঞাপন

শুটারদের সামনে অলিম্পিক চ্যালেঞ্জ

January 16, 2019 | 5:17 pm

।।স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকাঃ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আন্তর্জাতিক সফলতা সবচেয়ে বেশি শুটিংয়ে। এসএ গেমস আর কমনওয়েলথ গেমসে সফলতা আসলেও আক্ষেপের নাম অলিম্পিক বা এশিয়ান গেমস। তাই অলিম্পিককে পাখির চোখ করেছে বাংলাদেশ শুটিং ফেডারেশন। তার প্রস্তুতি হিসেবে সামনে পাঁচটি চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে শুটারদের।

বিজ্ঞাপন

এ বছর পাঁচটি বিশ্বকাপে অংশ নিবেন শুটাররা। দিল্লি, ব্রাজিল, জার্মানি, কাতার ও চিনে এই পাঁচটি বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। দেশের শুটারদেরও প্রস্তুতি চলছে জোরেসোরেই।

বিশ্বকাপগুলোতে কোটা নিশ্চিত করতে পারলেই মিলবে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের টিকিটও।

পাঁচটি বিশ্বকাপের সবচেয়ে নিকটে দিল্লি চ্যালেঞ্জ। আগামী মাসের ২০ থেকে ২৮ তারিখ ভারতের দিল্লিতে হচ্ছে বিশ্বকাপটি। তারপর ২১-২৯ এপ্রিল চীনের বেইজিংয়ে, ২৪-৩১ মে জার্মানির মিউনিখে, ২৬ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে এবং ৩ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হবে শুটিং বিশ্বকাপ।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ যেসব ডিসিপ্লিনে সফল সেই এয়ার রাইফেল ও পিস্তল ডিসিপ্লিনে অংশ নিবে বাকী-অর্নবরা। দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় প্রথম বিশ্বকাপ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন শুটাররা। কোটা অর্জনের এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া তিন শুটার হলেন- এয়ার রাইফেলে আবদুল্লাহেল বাকি ও যুব অলিম্পিক গেমসে সরাসরি খেলা অর্নব শারার লাদিফ এবং পিস্তলে শাকিল আহমেদ। দলের সঙ্গে যাবেন পিস্তল কোচ দক্ষিণ কোরিয়ান কিম ইয়াং।

জানা গেছে, তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন শুটার। তারা হলেন- রাব্বি হাসান মুন্না, রবিউল ইসলাম, আতকিয়া হাসান দিশা ও উম্মে জাকিয়া সুলতানা টুম্পা। শনিবার ফেডারেশনের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, এই তিন শুটারের সঙ্গে আর কারা যাবেন দিল্লি।

এদিকে ক্লাভস ক্রিস্টেনসেন চলে যাওয়ার পর রাইফেলে বিদেশি কোচ ছাড়াই চলছে টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতি। সেই সঙ্গে শুটাররা যেন ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক গেমসে ওয়াইল্ড কার্ড ছাড়াই খেলার সুযোগ পান সে লক্ষ্যও হাতে নিয়েছে ফেডারেশন।

বিজ্ঞাপন

আগামী ছয় বছর বাংলাদেশি শুটারদের মানোন্নয়নের জন্য ৩০ কোটি টাকার বাজেট তৈরি করেছেন তারা। দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ লি’র অধীনে চলছে পিস্তল শুটারদের ট্রেনিং। ফেডারেশন শুধু জাতীয় দল নিয়েই ব্যস্ত থাকছে না। তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে সিনিয়র জাতীয় দলের পাশাপাশি বি-দল এবং সি-দলও গঠন করা। তাই রাইফেল এবং পিস্তল ইভেন্টে দু’জন করে চারজন বিদেশি কোচ নিয়োগ দেয়া হবে বলে ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ কিমের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে ফেডারেশন। জার্মানি থেকেও কোচ আনার চেষ্টা চলছে। অবশ্য টোকিও অলিম্পিকের জন্য সব ভালো কোচ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন