বিজ্ঞাপন

শেষ গ্রুপের লড়াইয়ে প্রথমবার নামছে চারটি দল

June 19, 2018 | 11:23 am

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

সব গ্রুপের একটি করে খেলা শেষ হয়ে গেলেও রাশিয়া বিশ্বকাপে আজ প্রথম নামছে ‘এইচ’ গ্রুপের দলগুলো। এই গ্রুপে লড়বে জাপান, কলম্বিয়া, সেনেগাল আর পোল্যান্ড। সারানস্কে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে নামবে কলম্বিয়া-জাপান আর রাত ৯টায় মস্কোতে মাঠে নামবে পোল্যান্ড-সেনেগাল।

দিনের প্রথম ম্যাচে নামা কলম্বিয়া মানেই যেন ঝাঁকড়া চুলের সেই কার্লোস ভালদেরামা বা আত্মঘাতী গোল দিয়ে পরে প্রাণ হারানো আন্দ্রেস এসকোবারের কথা। সেই কলম্বিয়া গত বার হামেস রদ্রিগেজ নামের এক বিস্ময়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল। এবার দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পথ খুব মসৃণ হয়নি, তবে কলম্বিয়া আশা করতে পারে ভালো কিছুই। রদ্রিগেজ এবারও আছেন, আগের বারের চেয়েও বায়ার্ন মিডফিল্ডার এবার পরিণত।

আগের বার রাদামেল ফ্যালকাও বিশ্বকাপ মিস করেছিলেন। ফ্যালকাও এবার আক্রমণের বড় ভরসা। গোলপোস্টের নিচে আর্সেনালের ডেভিড অসপিনা ও রক্ষণে তরুণ বার্সা ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনা তো আছেনই। কলম্বিয়া এবারও আশা করতে পারে অনেক দূর যাওয়ার।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপে পাঁচবার অংশ নিয়েছে কলম্বিয়া। ১৯৬৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলা দলটির সেরা সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ।

আট বছর আগেও এশিয়ার তো বটেই, বিশ্বকাপেও জাপান ছিল সমীহ জাগানো শক্তি। এবারও জাপান আছে বটে, কিন্তু আগের সেই ধার ও ভার আর নেই। গত বিশ্বকাপেও যারা ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন, সেই শিনজি ওকাজাকি, কেইসুকে হোন্ডা, শিনজি কাগাওয়া আগের মতো ফর্মে নেই। নীল সামুরাইদের এবার বড় কিছু আশা করতে হলে প্রার্থনাই করতে হবে। তার চেয়েও বড় সংকট, বিশ্বকাপের মাত্র মাস দুয়েক আগে দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন কোচ। এই অল্প সময়ে কতটা কী করতে পারবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বিশ্বকাপে জাপান পাঁচবার অংশ নেয়। ১৯৯৮ সালে প্রথম অংশ নেওয়া দেশটি গতবারও ব্রাজিল বিশ্বকাপে ছিল। বিশ্বকাপে তাদের সেরা অর্জন দ্বিতীয় রাউন্ড (২০০২, ২০১০)।

বিজ্ঞাপন


দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পোল্যান্ড মুখোমুখি হবে সেনেগালের। সত্তরের দশকে ইউরোপে বনিয়েকের পোল্যান্ড ছিল সমীহ জাগানো নাম। এরপর অনেক দিন তারা বিশ্বকাপের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গিয়েছিল, তবে এখন তারা আবার ফিরেছে ভালোমতোই। রবার্ট লেভানডফস্কি নামের একজন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তাদের, এবারের বিশ্বকাপের কালো ঘোড়া হতে পারে তারা। বাছাইপর্বে দারুণ খেলেই বিশ্বকাপে এসেছে পোল্যান্ড, পুরো বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি ১৬ গোল ছিল লেভানডফস্কির। তবে পোল্যান্ডের শক্তির জায়গা আছে আরও। রক্ষণে কামিল গ্রসিকি, মধ্যমাঠে ক্রিস্কোশিয়াক, বোয়েশচেকফস্কি, লিনেত্তি আর আক্রমণে জিলেনস্কির খেলোয়াড়েরা আশা দেখাতে পারেন পোল্যান্ডকে।

বিশ্বকাপে সাতবার অংশ নেওয়া পোলিশরা দুইবার সেমিফাইনাল খেলেছে। তবে, কোনোবারই ফাইনালের টিকিট পাওয়া হয়নি ১৯৩৮ বিশ্বকাপে প্রথম অংশ নেওয়া দেশটির। শেষ বিশ্বকাপ খেলেছে ২০০৬ সালে, তাদের সেরা সাফল্য তৃতীয় স্থান ১৯৭৪, ১৯৮২ সালে।

এদিকে, সেনেগাল এবার যে দল নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছে, বড় কিছুর আশা দেখতেই পারে। আক্রমণে সাদিও মানে নিজের সেরা সময় কাটাচ্ছেন লিভারপুলে, তুলনা করা হচ্ছে এল হাজি জিওফের সঙ্গে। সাখো, কোয়েটারাও প্রিমিয়ার লিগে নিয়মিত খেলছেন। রক্ষণে নাপোলির কাইদু কুলিবালি এই মুহূর্তে ইউরোপের সেরাদের একজন। বাছাইপর্বে সেনেগাল হারেনি একটা ম্যাচেও, দক্ষিণ আফ্রিকা, বুরকিনা ফাসোর গ্রুপ থেকে হেসেখেলে উঠেছে বিশ্বকাপে। আফ্রিকার সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা হতে পারে সেনেগালই।

সেনেগাল এর আগে মাত্র একবারই বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। সেরা সাফল্য বলতে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল।

বিজ্ঞাপন

 

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন