বিজ্ঞাপন

সংঘর্ষে লিপ্ত আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ফেরত পাঠানোর অনুরোধ

June 23, 2018 | 2:34 pm

স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

‘ডি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে নবাগত আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র, আর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে পরাজয় আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হতাশ করেছে। দেশ থেকে যারা রাশিয়ায় গিয়েছেন প্রিয় দলের খেলা দেখতে তারাও বেশ উত্তেজিত। উত্তেজনার বশেই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম থেকে বাইরে বেরুনোর মুখে মারামারি করেছেন বেশ কিছু আর্জেন্টিনার সমর্থক।

মাঠে দলের বাজে পারফরম্যান্সের পর ক্রোয়েশিয়ান সমর্থকদের পিটিয়েছেন উত্তেজিত হওয়া একদল আর্জেন্টাইন সমর্থক। সংঘর্ষের কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। এরপরই নড়েচড়ে বসে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। আর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া চার থেকে সাত আর্জেন্টাইন সমর্থককে রাশিয়া থেকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন এবং দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়।

নিঝনি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়া ও আর্জেন্টিনার ম্যাচের পর আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মারামারি করার একাধিক ভিডিও প্রকাশ পায়। রাশিয়া বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটি বলেছে, ক্রোয়েশিয়া সমর্থকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ায় বেশ কিছু আর্জেন্টাইনকে আটক করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার জার্সি পরিহিত অবস্থায় স্টেডিয়াম থেকে বাইরে বের হওয়ার আগে মারামারি করছে অনেকেই। বেশিরভাগ ক্রোয়েশিয়ার সদস্যকে মার খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। তাদের মাথায় লাথি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাত আর্জেন্টাইন সমর্থককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, এমন ঘটনার পর আর্জেন্টিনার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ভিডিওতে চারজন আর্জেন্টাইনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের যত দ্রুত সম্ভব যেন রাশিয়ান পুলিশ আটক করে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

এদিকে, ফিফার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এমন ঘটনা দেশের সম্মান পরিপন্থী। ফিফা খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে পদপক্ষেপ নেবে। ব্যাপারটি এখন নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের অধীনে আছে। তারা দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেবে। তাদের মারামারির দৃশ্য আগেই ধারণ করে রাখা হয়েছিল। এখন হামলাকারী আর্জেন্টাইন সমর্থকদের চিহ্নিত করা শুরু হয়েছে। বিষয়টি কোথায় গিয়ে গড়ায় সে দায়িত্ব দেশটির বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন