বিজ্ঞাপন

সংসদের বাইরেও বিরোধী দল থাকতে পারে, আদালতে খালেদা

January 13, 2019 | 2:30 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা:  ‘সংসদের বাইরেও বিরোধী দল থাকতে পারে। যারা জনগণের স্বার্থ নিয়ে সংসদের বাইরে কাজ করে তারাই বিরোধী দল।’

রোববার(১৩ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের  শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া।

এর আগে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার শুনানিতে বলেন, ‘নাইকোর সঙ্গে যে চুক্তি সেটির উদ্যোগ শুরু হয় ১৯৯৮ সাল থেকে। এরপর বিএনপি সরকার থেকে চুক্তি করে। এখন তো আমরা বিরোধী দলে।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘আপনারা এখন বিরোধী দলে নেই।’জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, সংসদের বাইরেও বিরোধী দল থাকতে পারে।

রোববার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের আংশিক শুনানি হয়। । ঢাকা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুল আলমের আদালতে এ দিন আসামি গিয়াস উদ্দিন মামুন, সেলিম ভূঁইয়া, সি এম ইউছুফের শুনানি হয়। এছাড়া এদিন এ মামলার আরেক আসামি মওদুদ আহমদের পক্ষে আংশিক শুনানি করেন মওদুদ আহমদ নিজেই। আংশিক শুনানি শেষে আদালত ২১ জানুয়ারি এ মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেন আদালত।

সকালে আদালত থেকে পরোয়ানা জারি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১২টা ২২ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। খালেদা জিয়া আসার তিন মিনিট পর সংশ্লিষ্ট বিচারক এজলাসে বসে শুনানি কার্যক্রম শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন:  নাইকো মামলার শুনানিতে খালেদার অসন্তোষ

এদিন আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন প্রবীণ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির

সভাপতি জয়নুল আবেদীন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

আরও পড়ুন: নাইকো মামলায় খালেদাকে হাজিরের নির্দেশ

বিজ্ঞাপন

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

গত ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন: নাইকো মামলায় আমাকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার আসামিরা হলেন সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

সারাবাংলা/এজেডকে/একে/জেডএফ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন