বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে বেশি ভোটার ঢাকা-১৯, কম ঝালকাঠি-১ আসনে

October 17, 2018 | 8:05 am

।। গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মোট ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন ভোটারের মধ্যে পরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন। সে হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৩শ’ সংসদীয় আসনে গড় ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩০১ জন।

ইসি সূত্র জানাচ্ছে, এবার ভোটার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে। এখানে মোট ভোটার ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩০১ জন। আর সবচেয়ে কম ভোটার ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর, কাঁঠালিয়া) আসনে। এই আসনটিতে ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৮৫ জন।

এ ব্যাপারে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সারাবাংলাকে বলেন, ইতোমধ্যে ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি আসনের ভোটার তালিকার সফট কপি সিডিতে করে ইসির অঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তালিকায় কোনো ভুল থাকলে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩০ অক্টোবরের পর সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নতুন কোনো সংশোধনী আনা হবে না।

বিজ্ঞাপন

ইসি সূত্র জানায়, ৩০০ আসনের ভোটার সংখ্যা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দুইটি আসনে ভোটার সংখ্যা ৭ লাখের বেশি। আসন দুইটি হলো, ঢাকা-১৯ ও গাজীপুর-২। এর মধ্যে ঢাকা-১৯ আসনে ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩০১ জন আর গাজীপুর-২ আসনে ভোটার ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ জন। এরপর ৬ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে দুইটি আসনে, আটটি আসনে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখের বেশি, ৪ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে শতাধিক আসনে। এছাড়াও ৩ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে দেড় শতাধিক আসনে। অন্যদিকে চারটি আসনে ২ লাখের কম ভোটার রয়েছে।

ছয় লাখের বেশি ভোটার রয়েছে এমন দুইটি আসন হলো, গাজীপুর-১ ( ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৪ জন) ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে (৬ লাখ ৫১ হাজার ১২৩ জন)। পাচঁ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে এমন ৮টি আসন হলো, ময়মনসিংহ- ৪ (৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৬ জন), ঢাকা-১৮ (৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭১৩ জন), নোয়াখালী-৪ (৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৯ জন), সিলেট-১ (৫ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩০ জন), যশোর-৩ (৫ লাখ ২২ হাজার ৫৬১ জন), কুমিল্লা-১০ (৫ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৪ জন), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (৫ লাখ ১৫ হাজার ১১ জন), চট্টগ্রাম- ১১ (৫ লাখ ৭ হাজার ৩৫৫ জন)।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। দশম সংসদ নির্বাচনেও একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারতেন। তবে নবম সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় ছিল ১৫ লাখ টাকা। এবার আরও নির্ধারণ করা হয়েছে, আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ৮ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। দশম সংসদ নির্বাচনেও একজন প্রার্থী ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ৮ টাকা ব্যয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

তবে নির্বাচনী আসনে ভোটার সংখ্যা যাই হোক না কেন, একজন প্রার্থী ইসির আচরণবিধি অনুসারে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করতে পারবেন না। সে হিসাব অনুযায়ী, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে একজন প্রার্থী ভোটার প্রতি গড়ে খরচ করতে পারবেন মাত্র ৩ টাকা। আর ঝালকাঠি-১ আসনে একজন প্রার্থী ভোটার প্রতি খরচ করতে পারবেন ১৪ টাকা। এর আগে নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ১০ লাখ। তখন ভোটার প্রতি গড় ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ টাকা।

নিয়ম অনুযায়ী, চলতি মাসের ৩০ অক্টোবরের পর থেকে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তফসিল ঘোষণার আগে ২৮, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর এই তিন দিনের যেকোনো একদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে নির্বাচন কমিশন। সে হিসাবে বলা যায়, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ তফসিল ঘোষণার পর সাধারণত ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা হয়।

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন