বিজ্ঞাপন

সমাবেশ সফলে জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টার উপকমিটি গঠন

August 21, 2018 | 5:24 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশকে সফল করতে সক্রিয় হয়ে উঠছে জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টার নেতারা। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করেছেন তারা। নুরুল হুদা চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মো. হাবিবুর রহমানকে সদস্যসচিব করে একটি জনসংযোগ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টার সদস্য সচিব মোস্তফা আমিন সারাবাংলাকে বলেন, আমরা এখন আগামী ২২ সেপ্টেম্বর যে সমাবেশটা করবো, সেটা সফল করার লক্ষ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এই উপকমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ করা হয় নাই। নুরুল হুদা চৌধুরীকে উপকমিটির আহ্বায়ক এবং মো. হাবিবুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হবে, আমরা তো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিসে যাচ্ছি, বিভিন্ন  সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের কাছে যাচ্ছি, তাই এই উপকমিটির কাজ হবে এ সংগঠনের কাছে যাওয়া। রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি আড়ং শোরুমের পাশের একটি বিল্ডিংয়ে জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টার ব্যানারে কার্যালয় নেওয়া হয়েছে।

আগামী সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনগুলোর কাছে গিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টার কর্মসূচি তুলে ধরবে। ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মহাসমাবেশ থেকে নতুন করে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায় সফরের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি জনমত গড়ে তুলতে সারাদেশে লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, দেশের চলমান সব রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী প্রচার-প্রচারণায় রূপ দিতে জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ থেকে জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দিয়ে শক্তির জানান ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করে করেছে নেতারা। এমনকি এই  ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে এক মঞ্চে উঠতে পারেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠবে জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টা সংগঠনের ব্যানারে। বিশেষ করে জাতীয় প্রচেষ্টায় বিএনপির সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনের সময়ে নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নামে সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী নেতা-কর্মীদের নামে নতুন মামলা ও গ্রেফতার অভিযান বন্ধসহ আরও বেশ কয়েকটি ইস্যুতে এই রূপরেখা তৈরি হচ্ছে।

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এই সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে এই রূপরেখা তুলে ধরা হবে। সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে তার বাসায় গত বুধবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সমাবেশ থেকে কী ঘোষণা দেওয়া হবে, সমাবেশে কাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে- এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হয়। পাশাপাশি দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গতকাল ১৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় তার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ড. কামাল হোসেন ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়ানের চলমান বিভেদ মিটে গেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী দিনে এই দুই নেতা এখন এক মঞ্চ থেকে নেতৃত্ব দেবেন। গত রোববার (১৯ আগস্ট) রাতে দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক তাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটিয়েছে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র। তারা বলছেন, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারা প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী এখন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির দাবি নিয়ে ঈদের পরে এক মঞ্চ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। শুধু তাই নয়, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মহাসমাবেশে অংশ নেবেন যুক্তফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।

সারাবাংলা/এনআর/এমঅাই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন