বিজ্ঞাপন

‘সম্মিলিত বিরোধী ঐক্যয় বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হবে’

March 23, 2018 | 4:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সম্মিলিত বিরোধী ঐক্য গঠনের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দলটির শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পরিচিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শুক্রবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।

‘মহান স্বাধীনতার ৪৭ বছর ও জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভা  আয়োজন করে  ‘বাংলাদেশ জন দল (বিজেডি)।

বিজ্ঞাপন

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকুক বা মুক্ত হোক সম্মিলিত বিরোধীদল গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে বিএনপিকে। বড় দলের অহংকার ভুলে সকল গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে সম্মিলিত বিরোধীদল গঠন করতে হবে। বিনা চ্যালেঞ্জে সরকারকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’

‘বিএনপিকে বুঝতে হবে, বেগম জিয়াকে জেলে রেখেই সরকার আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। আর সে জন্যই তারা নতুন নতুন কর্মপদ্ধতি প্রয়োগ করছে। সরকারের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে না পারলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত যেমন খারাপ, তেমনই বিএনপি ও দেশের ভবিষ্যতও সুখকর হবে না’— বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন,  ‘বেগম জিয়াকে জেলে রাখতেই সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। তারা নিম্ন আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করছে— এটি দেশবাসী বোঝে। সরকারকে মনে রাখতে হবে দেশের জনগণ কাউয়া নয়। দেশের জনগণ সরকারের নাটক ভালো করেই উপলব্ধি করছে।’

বিজ্ঞাপন

‘বাংলাদেশের সকল সমস্যার জন্য দায়ী হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। এই সত্যেকে উপলব্ধি করতে হবে। এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে বিএনপিকে মাসুল দিতে হবে। ভারতকে চিনতে ব্যর্থ হলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও ক্রমাগত সমস্যা বাড়ছে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়ছে। গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই সকলে লাভবান হবে বা দেশ ও দেশের মানুষ মুক্তি পাবে— বিষয়টি এমন নয়। দেশ ও জনগণের মুক্তির জন্য বিএনপির চিন্তা-চেতনার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “বর্তমান সরকার ভণ্ড ও প্রতারক। তারা ভোট ডাকাত। ভোট কেন্দ্রে ভোটার না থাকলেও তারা ৪০% ভোট পায়—যা হাস্যকর। তাদের কথা জনগণ বিশ্বাস করে না। তাদেরকে সম্মিলিতভাবে ‘না’ বলতে হবে।”

বিএনপি ও ২০ দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে, রাষ্ট্রে স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনাদের কর্মসূচি কী— জাতি জানতে চায়। আগামীতে দেশ জাতির সামনে আপনাদের বক্তব্য কী— তা স্পষ্ট করতে হবে। আপনাদের বক্তব্যে সাথে একমত হলেই কেবল জাতীয় ঐক্য সম্ভব। শুধু মুখে মুখে জাতীয় ঐক্যের কথা বললে হবে না।’

বিজ্ঞাপন

মান্না বলেন, ‘৪৭ বছরে গুম, হত্যা-নির্যাতন বেড়েছে কয়েকশ গুণ। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস কমে যাচ্ছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। এগুলোর বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে জনগণের সরকার।’

জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অপশাসনে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সব কিছু আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছেন তাদের নাম মুছে দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না, তাদের চরিত্র হরণেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।’

বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছরে গণতন্ত্র বার বার হোঁচট খেয়েছে। সব সময় শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতালিপ্সার কারণে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র বার বার হুমকির মুখে পড়েছে। এখন ইতিহাসের সবচাইতে কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছে জাতি। এই অবস্থায় সকল দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক শক্তির জাতীয় ঐক্যমঞ্চ প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।’

জনদলের চেয়ারম্যান ডা. এস.এম শাজাহানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় আরো অংশ নেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশিদ, জনদলের ভাইস চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম, আবুল হাশেম সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মফিজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ইকবাল হাসান, আনিছুর রহমান টয় চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, মাসুম সরকার, হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমান, মাহবুবুর রহমান মুরাদ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন