বিজ্ঞাপন

সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে নিউজিল্যান্ডবাসী

March 20, 2019 | 10:56 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডর্নের এক ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত অস্ত্র জমা দেওয়া শুরু করেছে নিউজিল্যান্ডবাসী। গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) দেশটির ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুই মসজিদে বৈধ অস্ত্র দিয়ে এক শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীর হামলার পর দেশবাসীর প্রতি অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানান আরডর্ন। ওই হামলায় প্রাণ হারান ৫০ জন। খবর বিবিসির।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ড দ্বীপের মাসটারটন জেলার এক কৃষক জন হার্ট তার নিজের ব্যক্তিগত অস্ত্র জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে নিজের আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটি ধ্বংস করার জন্য জমা দেওয়ার কথা জানান হার্ট।

হার্টের পোস্টের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন অনেকে। আবার অনেক বৈধ অস্ত্রের মালিকরা তার ফেসবুক একাউন্টে পাঠিয়েছেন অবমাননাকর বার্তা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বাসিন্দা এসব বার্তা পাঠিয়েছে।

এদিকে, নিউজিল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, তারা এখনো অস্ত্র জমা নিচ্ছে। ঠিক কতগুলো অস্ত্র জমা পড়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি তারা।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ মার্চ) আরডর্ন এক বক্তব্যে জানান, নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র বিষয়ক আইনে পরিবর্তন আনা হবে। তবে কি ধরনের পরিবর্তন আনা হবে তা এখনো জানা যায়নি।

আরডর্নের ঘোষণার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে দেশটির প্রাণী শিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো। তারা সামরিক ঘরানার আধা-স্বয়ংক্রিয় বন্দুক ও উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগাজিন নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

আমাকে তার নাম উচ্চারণ করতে শুনবেন না

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তব্যে আরডর্ন কখনো ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারীর নাম মুখে উচ্চারণ না করার পণ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ক্রাইস্টচার্চ হামলা: বাবা-ছেলের জানাজায় শত মানুষ

তিনি বলেন, সে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে অনেক কিছু চেয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে পরিচিতি। এজন্য আপনারা কখনো আমাকে তার নাম উচ্চারণ করতে শুনবেন না।

আরডর্ন তার বক্তব্য আইনপ্রণেতাদের নিশ্চিত করেন যে, হামলাকারী আইনের সর্বোচ্চ শক্তির সম্মুখীন হবে। তিনি সকল নিউজিল্যান্ডবাসীকে আগামী শুক্রবার মুসলিম সম্প্রদায়ের শোককে স্বীকৃতি জানানোর আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে এ ধরণের সন্ত্রাসবাদীতা মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, নিজের হামলা ফেসবুকে প্রচার করেছিল ক্রাইস্টচার্চ হামলাকারী।

তিনি বলেন, আমরা চুপচাপ এই প্ল্যাটফর্মগুলোর অস্তিত্ব ও এগুলোতে যা প্রকাশ হচ্ছে তা মেনে নিতে পারি না।
এগুলোতে যা প্রকাশ হচ্ছে তা এই প্ল্যাটফর্মগুলোর দায়িত্বের অধীনে পড়ে। তারা এসবের প্রকাশন। কেবল ‘পোস্টম্যান’ না। এটা দায়িত্ববোধ ছাড়া কেবল লাভের বিষয় হতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

হামলার ভিডিও সম্প্রচার নিয়ে ফেসবুক মঙ্গলবার জানিয়েছে, হামলাকারী হামলাটি সরাসরি সম্প্রচার করার সময় সেটি ২০০’রও কম ব্যবহারকারী দেখেছে। এছাড়া পরবর্তীতে সব মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার বার দেখা হয়েছে। এরপর ভিডিওটি যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি আরও বলেছে, তারা হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিওটির ১৫ লাখ কপি সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া আরও ১২ লাখ কপি আপলোড করার আগেই ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/ আরএ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন