বিজ্ঞাপন

সরকারের ভিশন নিয়ে কাল ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

January 16, 2019 | 11:04 pm

।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবগঠিত সরকারের আগামী দিনের পরিকল্পনা (ভিশন) সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতে ঢাকায় অবস্থান করা বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।  এরই মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত সব দেশের মিশন প্রধানকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের এই  ব্রিফ করা হবে। একাধিক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী দিনের পররাষ্ট্রনীতিতে কোন কোন ক্ষেত্রে ঢাকা গুরুত্ব দেবে, তা ব্রিফিংয়ে উপস্থাপন করা হবে। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যু ও গণতান্ত্রিক চর্চার বিষয়কে অগ্রাধিকার  দেওয়া হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক পদ-মর্যাদার একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্রিফিংয়ে  সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে সবাইকে জানানো হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একাদশ সংসদ নির্বাচন যে শান্তিপূর্ণ ও সব লের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া ভোটে যে সব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপও তুলে ধরা হবে।

বিজ্ঞাপন

আজকের ব্রিফিংয়ে অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে রোহিঙ্গা সংকট প্রাধান্য পাবে। এই সংকটের কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্ব সামনের দিনে কী ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত হুমকিতে পড়তে পারে, তাও উপস্থাপন করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এই ব্রিফিংয়ে নতুন সরকারের অর্থনৈতিক কূটনীতি বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে ট্যাক্স হলিডেসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেসব সুবিধা পাবেন, তাও তুলে ধরবেন তিনি। বিদেশি বিনিয়োগ টানতে সরকারের নেওয়া অর্থনৈতিক জোন সম্পর্কেও তিনি জানাবেন।

এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় অবস্থানরত সব বিদেশি কূটনীতিককে জন্য ব্রিফ করেন সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ওই ব্রিফিংয়ে সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে কূটনীতিকদের জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া ওই ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা সম্পর্কে বলা হয়, গত ১৫ নভেম্বর প্রথম ব্যাচের রোহিঙ্গা প্রত্যবাসন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকা জোর করে রোহিঙ্গাদের পাঠাতে চায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় যেতে না চাইলে জোর করে পাঠানো হবে না বলেও ওই ব্রিফিংয়ে বলা হয়।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমএনএইচ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন