বিজ্ঞাপন

‘সরোদ’ মূর্ছনায় বিমোহিত নাট্যশালা মিলনায়তন

June 30, 2018 | 1:17 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে গতকাল (২৯ জুন) সরোদ বাদন সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যুগলভাবে সরোদ বাদন করেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ এর নাতি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পী ওস্তাদ আশীষ খাঁ ও নাতির ছেলে সংগীতজ্ঞ সিরাজ আলী খান। যুগলবন্দীতে শিল্পীদ্বয়ের সঙ্গে তবলা সংগত করেন বিপ্লব ভট্টাচার্য ও তানপুরায় পারভেজ খান।

অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আশীষ খাঁ বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠান নিয়ে আমি খুবই গর্বিত, আমাকে এবং আমার বাবা ও দাদুকে যে সম্মান জানানো হয়েছে, তাতে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। বলতে গেলে আজকের দিনটা আমার জীবনের অসাধারণ একটা দিন। আমি খুবই আনন্দিত যে এখানে বাজাতে পেরেছি। এটা আমার বহুদিনের একটা ইচ্ছে ছিল, আজ পূরণ হোলো।

বিজ্ঞাপন

পূর্ব পুরুষের জন্মস্থান বাংলাদেশে তার দাদু ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ-এর নামে একটি সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে এমন ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তিনি। যেখানে তিনি শিক্ষকতা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সারাজীবন বিদেশের মাটিতেই কাটালাম, তাই শেষ বয়সটা আমার বাংলাদেশের মাটিতে থেকে সবাইকে শিখিয়ে যেতে চাই। ওদেশে অনেক ছাত্র তৈরী করেছি, এখন বাংলাদেশেও করতে চাই। এটাই এখন আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা।’

বিজ্ঞাপন

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পীদের ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। শুরুতেই ‘রাগ-হেমবেহাগ’, ‘রাগ-হেমন্ত’ ও ‘রাগ-বেহাগ’র সংমিশ্রণে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ-এর সৃষ্ট রাগ তবলা সংগত ছাড়াই আলাপ-জোড়-ঝালা দিয়েই এক-দুই এক-দুই ছন্দে ছন্দে বাজিয়ে শোনান ওস্তাদ আশীষ খান। এরপর বাজান ‘রাগ-ঝিংঝোট’, যা বাংলাদেশে ‘রাগ-ঝিঁঝিট’ নামে পরিচিত। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ-এর তালিম অনুযায়ী প্রথমে আলাপ, গৎ, বিলম্বিত গৎ, দ্রুত গৎ বাজিয়ে প্রথাগতভাবে ঝালা দিয়ে শেষ করেন দ্বিতীয় পরিবেশনা। তৃতীয় বা শেষ পরিবেশনা ছিলো ‘রাগ-ভৈরবী’।

ছবি- আশীষ সেনগুপ্ত

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএসজি/আরএসও/পিএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন