বিজ্ঞাপন

‘সাঁতারে নদী-সাগরের পার্থক্য নেই’

December 17, 2018 | 3:42 pm

।। এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ নিয়ে ঢাকা-১৭ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক বলেছেন, সাঁতার কাটতে জানলে নদী ও সাগরে কোনো পার্থক্য নেই। যে সাঁতার কাটতে জানে—তার জন্য পুকুর-নদী অথবা সাগর কোনো মানে রাখে না। বিশেষ কোনো উন্নয়ন নয়, নির্বাচিত হলে এলাকার প্রতিটি কাজই বিশেষ হিসেবে অগ্রাধিকার পাবে বলে তার প্রতিশ্রুতি।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকায় নৌকার প্রচারণা শেষে সারাবাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বৈরি পরিবেশ আর বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে মিছিল করেন অাওয়ামী লীগের নেতারা। তবে বৃষ্টির কারণে তা সংক্ষিপ্ত করা হয়। পরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় অফিসে ফারুকের সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার। তিনি জানান, পুরোদমে এগিয়ে চলছে নির্বাচনী প্রচার। সবার ভালোবাসায় মুগ্ধ তিনি। জয়ের ব্যাপারেও শতভাগ আশাবাদী৷

নির্বাচনে এবার সবার দৃষ্টি ঢাকা-১৭ আসনে। অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, ঢাকা সেনানিবাস ও ভাসানটেকের কিছু অংশ নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত। আসনটিতে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, নৌকা প্রতীকে মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুক, ধানের শীষ প্রতীকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এবং তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সিংহ প্রতীকে লড়ছেন। আসনটিতে মহাজোটের দুই প্রার্থী থাকায় কিছুটা সংশয় রয়েছে ভোটারদের মধ্যেও।

বিজ্ঞাপন

প্রচারে ব্যতিক্রম কিছু আছে কি-না জানতে চাইলে নায়ক ফারুক বলেন, ‘আমি নিজেই ব্যতিক্রমধর্মী একজন প্রার্থী। আমার জন্ম হয়েছে রাজনীতির কোলে। আমাকে চলচ্চিত্রে আসতে হয়েছিল বাঁচার কারণে। ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন থেকে আজ পর্যন্ত যত আন্দোলন হয়েছে—প্রতেকটি আন্দোলনে আমার অংশগ্রহণ আছে। আওয়ামী লীগে শুধু কন্ট্রিবিউশন নয় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট থেকে শুরু করে এমন সাতটি সংগঠনের সভাপতি আমি। ২৫টি জোট সম্মিলিতভাবে আওয়ামী লীগের কাজ করে, সেটার নাম হলো বাঙালির সাংস্কৃতিক বন্ধন, তারও সভাপতি আমি।’

শক্ত প্রার্থীর সয়লাবে আলোচিত এই আসনে জয়ের ব্যাপারে কতোটা আশাবাদী জানতে চাইলে নৌকার এই প্রার্থী বলেন, ‘যে সাঁতার কাটতে জানে, তার জন্য পুকুর নদী এবং সাগর কোনো মানে রাখে না।’

ধানের শীষের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে, আপনার এলাকায়ও কী এমন কিছু হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মিথ্যাবাদী। মিথ্যাবাদী হান্ড্রেড পার্সেন্ট। শেখ হাসিনার সরকার কোনো দিনই এই কাজ করে না এবং এই সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে দেওয়া হয়েছে ঢাকা ১৭ তে। কেউ ভালোবাসা ছাড়া কিছু শুনে নাই। এগুলো মিথ্যা প্রচারণা। তারা পারছে না, তাই তারা সুন্দর সুন্দর কথা বলে মানুষকে বোঝনোর চেষ্টা করছে। এতে কোনো লাভ হবে না।’

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘না, আমি তো মনে করি না। আওয়ামী লীগ চাচ্ছে সবাই যেন সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে। আমার নেত্রী সুন্দর মনের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর কন্যা এটা ভুলে গেলে চলবে না।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচিত হলে এ এলাকার জন্য বিশেষ কী করবেন- এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, ‘বিশেষ বলে কোনো জিনিস নেই, প্রতিটি জিনিসই বিশেষ।’

নির্বাচনী উত্তাপ জানতে চাইলে কাঁলাচাদপুরের ভোটার চায়ের দোকানী মোস্তফা (৪০) সারাবাংলাকে বলে, ‘এখানে বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ। ফিল্ড ভালো। এলাকায় আওয়ামী লীগের সমর্থক বেশি। এরশাদের চেয়ে বেশি ভোট পাবে নায়ক ফারুক।’ ক্যান্টমেন্টের বাসিন্দা এই আসনের আরেক ভোটার রঙমিস্ত্রি খোকন (৩৫) বলেন, ‘টকশোতে কথা বলার সময় আন্দালিব রহমান পার্থ কাউকে ভয় পায় না। কাউকে না ডাকলেও তার পাশে লোক আসে। অনেকের কাছেই সে বেশ জনপ্রিয়।’

এদিকে, ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার না থাকার অভিযোগ থাকলেও এই আসনের বনানী ও গুলশানে বিএনপির পোস্টার দেখা গেছে। তবে বৃষ্টির কারণে সব দলের পোস্টারই নষ্ট হওয়ার পথে। প্রায় সব পোস্টারই ছিড়ে পড়ছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন