বিজ্ঞাপন

সাকিবদের শুরু, দুই পেরেরার শেষ

March 16, 2018 | 8:13 pm

সারাবাংলা ডেস্ক 

বিজ্ঞাপন

কে জানত, এমন শুরুর পর বাংলাদেশের এমন শেষ হবে? ৪২ রানে ৫ উইকেট ফেলে দিয়ে শ্রীলঙ্কাযখন বাংলাদেশের হাবায় ক্ষৎবিক্ষত, কে জানত, তারা সেখান থেকে এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে? শেষ পর্যন্ত রান হয়ে গেছে ১৫৯, তাতে বড় অবদান দুই পেরেরা-কুশল ও থিসারার। অঘোষিত সেমিফাইনালে এখন শ্রীলঙ্কাই খানিকটা মানসিকভাবে এগিয়ে আছে, সেটা বললে বোধ হয় বাড়িয়ে বলা হবে না।

অথচ বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। সাকিব আল হাসান ফিরলেন, তাতেই যেন জাদুমন্ত্রের মতো বদলে গেল বাংলাদেশ। টসে জিতে শুরুর ভাগ্যটাও সুপ্রসন্ন হলো তাঁর, বোলিং পেল বাংলাদেশ।

প্রথমটা এনে দিয়েছিলেন নিজেই। নিজের প্রথম ওভারে দিয়েছিলেন ৩ রান, দ্বিতীয় ওভারে কুশল মেন্ডিস রুবেলের বলে পর পর দুই চারে আগের ম্যাচের মতো ঝড়ের আশা দেখাচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু তৃতীয় ওভারেই সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন দানুশকা গুনাতিলাকা। ঠাণ্ডা মাথায় ক্যাচ নিলেন সাব্বির, ১৫ রানে শ্রীলঙ্কা হারাল প্রথম উইকেট। গুনাতিলাকা করলেন ৪।

বিজ্ঞাপন

মুস্তাফিজুর রহমান আগের তিন ম্যাচেই স্বভাববিপরীতভাবে খরুচে ছিলেন। তবে নিজের সেরাটা যেন সেমিফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছিলেন। নিজের প্রথম ওভারে প্রথম বলে লেগ বাই হলো, পরের চার বলে কোনো রান হলো না। হাঁসফাঁস করতে থাকা কুশল মেন্ডিস শেষ বলে ক্যাচ দিলেন শর্ট মিড উইকেটে। ২২ রানে শ্রীলঙ্কা হারাল দ্বিতীয় উইকেট।

মুস্তাফিজের পরের ওভারটা শ্রীলঙ্কার জন্য আরও বড় ধাক্কা হয়ে এলো। দ্বিতীয় বল সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থারাঙ্গা-কুশল পেরেরার, মিরাজার থ্রো ধরে মুস্তাফিজ স্টাম্প ভেঙে দিলেন। ৫ রানে ফিরলেন থারাঙ্গা। এক বল পরেই মুস্তাফিজের ট্রেড মার্কার অফ কাটার, উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে কোনো রান না করেই ফিরলেন দাসুন শানাকা। ৩২ রানে ৪ উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা, পাওয়ারপ্লেতে এলো ৩৫ রান। ৪১ রাএর মাথায় মিরাজকে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজকে ক্যাচ দিলেন জীবন মেন্ডিস।

সেখান থেকেই শুরু শ্রীলঙ্কার ঘুরে দাঁড়ানোর। থিসারা পেরেরা ও কুশল পেরেরা যে ঝড় তুলিবেন, সেই আভাস মিলেছিল ১১তম ওভারে গিয়ে। রুবেল হোসেনের ওই ওভারে পর পর দুই চার মারলেন পেরেরা। তবে ঝড়টা আসল ১৩তম ওভার থেকে। প্রথম দুই ওভারে ৪ রান দেওয়ার পর মুস্তাফিজ সেই ওভারে দিলেন ১৭ রান, কুশল পেরেরা মারলেন ছয়-চার। এর মধ্যে সাকিব মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যদের নিয়ে বল করিয়ে গেছেন, অপু বা নিজেকে আনেননি বোলিংয়ে।

বিজ্ঞাপন

সুবিধাটা দুই পেরেরা নিয়েছেন ভালোমতোই। মুস্তাফিজের ওপরেই বেশী গেছে তোপ, তাঁর এক ওভারেই পর পর দুই ছয় মেরেছেন থিসারা। ৩২ বলে ফিফটির পর কুশলও মারছিলেন, শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৬১ রান করে সৌম্যের বলে আউট হয়েছেন। কিন্তু অধিনায়ক থিসারা শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩৭ বলে ৫৮ রান। এই উইকেটে ১৬০ রান তাড়া করার সামর্থ্য বাংলাদেশের ভালোমতোই আছে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসে এমন একটা ধাক্কা খাওয়ার পর সেটা কি সম্ভব?
সারাবাংলা/ এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন