বিজ্ঞাপন

সাবেক জাবি শিক্ষার্থী ব্যবসায়ীর নামে জাবি ছাত্রলীগ নেতার জিডি

August 20, 2018 | 9:00 pm

।। জাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ও সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর ‘চাঁদাবাজি’র মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে— এমন অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা।

সোমবার (২০ আগস্ট) সকালে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তারেক হাসান থানায় এ জিডি করেন (জিডি নম্বর ১৩৮৮)। বিবাদী ইসমাইল ইবনে ওয়ালী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বর্তমানে ক্যাম্পাস সংলগ্ন আম বাগান এলাকার ব্যবসায়ী।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ইসমাইল ইবনে ওয়ালী ক্যাম্পাস সংলগ্ন আম বাগান এলাকায় রিভারল্যান্ড ব্রডব্যান্ড সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে ব্যবসা করেছেন। ১৯ আগস্ট আমি (তারেক হাসান), অভিষেক মন্ডল, নিলাদ্রী শেখর মজুমদার ও রবিউল ইসলাম তার দোকানে যাইনি। আমি ও অভিষেক মন্ডল ক্যাম্পাসে ছিলাম। নিলাদ্রী শেখর মজুমদার ও রবিউল ইসলাম উত্তরাতে ছিলেন। কিন্তু বিবাদী আমাদের বিরুদ্ধে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সামাজিকভাবে ক্ষতি করা ও সম্মানহানি করার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছেন। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে আমাদের সম্মানহানিসহ হয়রানির সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের ধারণা, ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের প্রতিপক্ষ কারও ইন্ধন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মো. তারেক হাসান বলেন, গতকাল (১৯ আগস্ট) সারাদিন আমি ও অভিষেক মন্ডল পরিবহন চত্বরে চঞ্চল (শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) ভাইয়ের সাথে ছিলাম। নিলাদ্রী শেখর মজুমদার ও রবিউল ইসলাম উত্তরাতে ছিলেন। তারপরও কেন আমাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটা বুঝতে পারিনি। নির্বাচনী বছরে সংগঠনকে বিতর্কিত করা ও আমাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের জন্য এটা করা হতে পারে। এত বছর ধরে রাজনীতি করি, কেউ কোনো অভিযোগ দিতে পারবে না। প্রকৃত ঘটনা সবার জানা উচিত। এজন্য আমাদের চার জনের পক্ষে আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।

এ বিষয়ে জানতে ইসমাইল ইবনে ওয়ালীকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার সহযোগী মো. শাহাদাত হোসেন শাওনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি কিছুক্ষণ কথা বলার পর হোল্ড করে রাখেন। ফের ফোন দেওয়া হলেও আর রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদকে ফোন দেওয়া হলে তিনিও ফোন কেটে দেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গতকাল (১৯ আগস্ট) ইসমাইল ইবনে ওয়ালী ও ইংরেজি বিভাগে শিক্ষার্থী মো. শাহাদাত হোসেন শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তারেক হাসান, অভিষেক মন্ডল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নিলাদ্রী শেখর মজুমদার ও কর্মী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মারধর, দোকান ভাঙচুর ও অস্ত্রের মুখে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন।

সারাবাংলা/টিআই/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন