Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পলাশ মজুমদারের ‘ভ্রমর সেথা হয় বিবাগি’

সাহিত্য ডেস্ক
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৯

এটি পলাশ মজুমদারের প্রকাশিত তৃতীয় গল্পগ্রন্থ। বইটিতে স্থান পেয়েছে দশটি গল্প যেগুলো প্রায় দুই বছর ধরে লেখা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে বিভিন্ন সাহিত্য সাময়িকী ও লিটল ম্যাগে প্রকাশিত ; যথাক্রমে- পরিণতি, বিপ্লব, যুগল প্রেমের স্রোতে, ছলনাজাল, বিশ্বাসের ফাঁদ, ভ্রমর সেথা হয় বিবাগি, রক্তমাখা চরমতলে, না পেয়ে তোমার দেখা, হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা এবং শূন্যতার গোলকধাঁধা। সমকালীন রূঢ় বাস্তবতা, বৈষম্য ও অনাচার, মানবিক অবক্ষয়, মানুষের স্ববিরোধিতা, ভণ্ডামি ও কপটতার মতো নিকৃষ্ট মনোবৃত্তি, আধুনিক ও প্রাচীনপন্থার বিরোধ, যৌনতা, গতানুগতিকতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব, সম্পর্কের টানাপোড়েন, সংবেদনশীলতা এবং নারী-পুরুষের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা গল্পগুলোতে অনায়াসে চলে এসেছে।

বইটি পাঠের সময় পাঠক অস্বস্তিতে পড়ে যাবেন গল্পের শুরু এবং শেষ নিয়ে। পলাশ মজুমদার বাস্তবজীবনে সমাজমনস্ক, রাজনীতির ধার না ধারলেও তার লেখায় সূক্ষ্মভাবে চলে আসে রাজনীতি। পর্যবেক্ষণশীল পাঠকের কাছে তা ধরা পড়ে অনায়াসে। তবে বলা যায় যুক্তিবাদিতা তার গল্পের অন্যতম অনুষঙ্গ। নর-নারীর চিরন্তন প্রেমও লেখক এড়িয়ে যান না। একই সঙ্গে তার লেখায় প্রকাশ পেয়েছে প্রচলিত সমাজব্যবস্থার প্রতি রাগ-ক্ষোভ ও বিদ্রূপ।

তার লেখায় ধর্মকে তিনি কোন প্রকার আঘাত করেননি, তবে আঘাত করেছেন ধর্মীয় মুখোশের আড়ালে ভণ্ডামিকে। ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিদ্যমান ভেদাভেদ ও হিংসা-বিদ্বেষের চিত্র এঁকেছেন রাখঢাক না রেখে, কারও পক্ষাবলম্বন না করে। অপ্রিয় সত্য বলায় দ্বিধাহীন পলাশ মজুমদার দার্শনিক না হলেও তার লেখায় দার্শনিকতা স্পষ্ট। ‘ভ্রমর সেথা হয় বিবাগি’ বইয়ের গল্পগুলো ঝরঝরে ও প্রাণবন্ত।

পলাশ মজুমদারের পূর্ব প্রকাশিত বই ‘হরিশংকরের বাড়ি’, ‘দিব্যপুরুষ’, ‘জনৈক বিনিয়োগকারীর আত্মহত্যা প্রসঙ্গে’ এবং ‘ফুলের ভাষা যদি বুঝি’। বইগুলোর প্রকাশক বিদ্যাপ্রকাশ। বইমেলায় বিদ্যাপ্রকাশের স্টল নং ৩২৬-৩২৯।

সারাবাংলা/এসবিডিই

পলাশ মজুমদারের ‘ভ্রমর সেথা হয় বিবাগি’ বই সাহিত্য


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর