বিজ্ঞাপন

সা রে গা মা পা: কোনো নির্দিষ্ট প্রতিযোগির জন্য টিআরপি বাড়ে না

February 26, 2019 | 1:37 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

গেল বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গের টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলাতে শুরু হয়েছিল জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র নবম আসর। কয়েক বছর ধরে গানের এই প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশি প্রতিযোগিরাও অংশগ্রহণ করছেন।

এবারের আসরে সাতজন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেছিলেন। কয়েক দফা বাছাইয়ের পর ৪৮ জনের মধ্য থেকে সাত জনকে নির্বাচন করা হয়েছিল। সেই সাত জন প্রতিযোগি থেকে এখন কেবল টিকে আছেন মাঈনুল হাসান নোবেল। সবশেষ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিযোগিতা থেকে চোখের জলে বিদায় নেন অবন্তি সিঁথি।


আরও পড়ুন :  ‘প্রেমের স্বীকারোক্তি’ দিলেন মালাইকা আরোরা


নোবেল ও অবন্তিকে নিয়ে নবম আসরে প্রচন্ড রকমের মাতামাতি হয়। অবন্তি শিষ দিয়ে গান গায় বলে তাকে ‘শিষ প্রিয়া’ খেতাব দেন প্রতিযোগিতার বিচারকরা। আর নোবেল একের পর এক গান গেয়ে মুগ্ধ করে বিচারকদের কাছ থেকে অর্জন করছেন ভালোবাসা। এমনকি তার গানের ভিডিও ফুটেজ বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। সেই গান শুনে আর বিচারকদের উচ্ছ্বাস দেখে নোবেলকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন এপার বাংলার মানুষ।

বিজ্ঞাপন

সা রে গা মা পা– তে বিচারকের দায়িত্বে আছেন খ্যাতিমান সুরকার শান্তনু মৈত্র, বিশিষ্ট শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য ও মোনালি ঠাকুর। প্রতিযোগিতা শেষ না হওয়া র্পযন্ত সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথায় নিষেধাজ্ঞা আছে অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের।

তবু্ও বিশেষ অনুরোধে বিচারক শ্রীকান্ত আচার্য অল্প কিছু কথা বলেন সারাবাংলার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ট্যালেন্টের অভাব নেই সেটা নতুন করে প্রমাণ করছেন নোবেল। শুধু নোবেল নন, বাংলাদেশ থেকে অন্য যারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তারাও দুর্দান্ত। কিন্তু প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুয়ায়ি কাউকে না কাউকে তো বাদ পড়তেই হয়।’

বিজ্ঞাপন

একটি প্রশ্নের জবাব দিয়েই শ্রীকান্ত আচার্য আর কোন প্রশ্ন না করার বিনীত অনুরোধ জানান। তার প্রতি সম্মান রেখে যোগাযোগ করা হয় রিয়েলিটি শো এর পরিচালক অভিজিৎ এর সঙ্গে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় অনুষ্ঠানের ফাইনাল হচ্ছে কবে? তিনি অবশ্য এ বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য জানাতে পারেননি। অভিজিৎ জানান, ‘গ্র্যান্ড ফিনালের বিষয়ে আমরা এখনো সেভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। সা রে গা মা পা- এর এই আসর এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, গ্র্যান্ড ফিনালের তারিখ ফিক্সড করতে পারিনি। এ নিয়ে আমরা একটি মিটিং করব। দেখা যাক কি হয়!’

নোবেলকে নিয়ে এতো মাতামাতি! এটা কি বাংলাদেশ অংশে টিআরপি ধরে রাখার কৌশল? এমন একটি প্রশ্ন করা হয় অভিজিৎকে। তিনি বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট প্রতিযোগির জন্য টিআরপি বাড়ে না। অনুষ্ঠান বিবেচনা করে বাড়ে। বাংলাদেশিরা তাদের প্রতিযোগির ভিডিও ফুটেজ কেটে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন। এটা একান্তই তাদের ব্যাপার। একটা কথা বলতেই হবে, সা রে গা মা পা কোন অযোগ্য শিল্পীকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে না।’

এদিকে অনেক বাংলাদেশির ধারনা, সা রে গা মা পা এর নবম আসরে নোবেল প্রথম তিন জনের মধ্যে থাকবেন। আসলেই তিনি প্রথম তিনে থাকবেন কিনা সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত ফলাফল পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএসও/পিএম


আরও পড়ুন :  রসিক শাকিবের মন বাঁধলেন ফারিয়া


Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন