বিজ্ঞাপন

সিইসির কাছে ৩০ জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ

December 17, 2018 | 4:42 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঢাকাসহ ৩০টি জেলায় পুলিশি হয়রানি ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হাতে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্যাতন বন্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। সোমবার দুপুরে (১৭ ডিসেম্বর) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিটি ইসির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।

৮ পৃষ্ঠার এই অভিযোগে বলা হয়, রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর কদমতলী বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি মীর হোসেন মীরুর বাড়িতে গোয়েন্দা বিভাগের একজন সহকারী পুলিশের কমিশনারের নেতৃত্বে হানা দেয়। এসময় ধানের শীষের প্রচার চালানো যাবে না বলেও হুমকি দিয়ে যায় তারা। এছাড়া অন্য নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশি তল্লাশির নামে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া আগামী নির্বাচনে ভোট থেকে বিরত রাখার জন্য পুলিশ অস্ত্র তুলে হুমকি দেয়।

ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আফরোজা আব্বাস ১২ ডিসেম্বর জনসংযোগে বের হলে আকস্মিকভাবে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আক্রমন চালায় ও ধানের শীষের লিফলেট কেড়ে নেয়, এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করে। তখন বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বিএনপি নেতা রিপন ও সিরাজসহ অনেকেই গুরুতর জখম হয়।

বিজ্ঞাপন

নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীকে সাদা পোশাকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় এখন পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

একইভাবে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবদুল হামিদের বাসায় তল্লাশির নামে পুলিশ হামলা চালায়। নির্বাচন কমিশন এসব দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তাসহ সব থানার ওসিদের প্রত্যাহার করলে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে পাওয়া যাবে বলে চিঠিতে বলা হয়।

রবিবার চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানা বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী আবদুল মান্নানসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে পুলিশ বাধা দেয়, এমনকি গুলিও করা হয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

কুমিল্লা জেলা শহরে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শহরে বের হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় পুলিশসহ আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে এতে ৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী গুরুতর জখম হয়। এসময় তিনজন সমর্থকের দোকানে ভাঙচুর করা হয়। আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হলে, নৌকা মার্কা ছাড়া এলাকায় কেউ থাকতে পারবে না বলে পুলিশ সুপার অফিস থেকে জানানো হয়।

জামালপুর-৩ আসনের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ নেতাকর্মীরা হযরত শাহ কামাল (র.) এর মাজার জিয়ারত করতে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে গুরুতর জখম করা হয়।

ভোলা-৪ আসনের পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলমের গাড়ি ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। সেখানে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

চট্টগ্রাম জেলায় রবিববার সন্ধ্যায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম জেলা বিএনপি’র প্রার্থী আসলাম চৌধুরীর বাড়িতে নির্বাচনি সভা চলছিল। সভা থেকে বের হওয়ার পর ২৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম-৭ আসনের বিএনপির প্রার্থীকে অবৈধ অস্ত্র ধরিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি উপজেলা বিএনপির নির্বাচনী পথ সভায় পুলিশ আক্রমণ চালিয়ে পণ্ড করে। গতকাল ফরিদপুর শহরে ৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। শহরের ২/৩ নং ওয়ার্ডে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।

এছাড়া একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাও, নোয়াখালি, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ঝিনাইদহ, নরসিংদী, নাটোর, ব্রাহ্মণবড়িয়া, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, রংপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জ, ফেনী, সিরাজগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায়।

অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

সারাবাংলা/জিএস/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন