বিজ্ঞাপন

সিরিয়ায় অভিযানের বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত : ট্রাম্প

April 13, 2018 | 11:08 am

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়াতে সামরিক অভিযান চালানো হবে কিনা সে বিষয়ে ‘খুব শিগগিরই’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ও তার মিত্ররা সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে ‘খুবই সতর্ক’  রয়েছেন। বিশেষ করে সিরিয়ার দৌমা শহরের রাসায়নিক গ্যাস হামলার বিষয় নিয়ে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শুক্রবার বিবিসি  এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার পাশ্চাত্যের মিত্ররা সিরিয়াতে হামলার বিষয়ে ভাবছে। তবে সিরিয়াতে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে বিরোধীতা করে আসছে রাশিয়া।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, আপনারা যদি সিরিয়ায় হামলা চালান, তবে অনিবার্যভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হবে এবং সেটা কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না। সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ হলে তা হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। একথা চিন্তা করে সামরিক পদক্ষেপ থেকে সরে আসাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যৌক্তিক হবে।

এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন বলেছেন, সিরিয়া সরকার দৌমাতে যে রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালিয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীসভা সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন আর রাসায়নিক গ্যাস হামলার মতো ঘটনা না ঘটে,  সে জন্য তাদের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পরে সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। সিরিয়া ইস্যুতে তারা একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মিত্র ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁনের সঙ্গে আলাপ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সিরিয়ার এই সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শিগগিরই জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।

দৌমাতে গত শনিবারের রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ বহু মানুষ হতাহত হন। এ হামলার জন্য রাশিয়ার মিত্র  সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদকে দায়ি করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর রাশিয়া ও সিরিয়া এর জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করছে।

সারাবাংলা/আইএ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন