February 21, 2018 | 10:25 am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ঘৌটা অঞ্চলে গত দু’দিনে সরকারি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা আড়াই শ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ জন। হতাহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। সোমবার শুরু হওয়া অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে বুধবার এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা।
২০১৩ সালে রাসায়নিক হামলায় কয়েকশ মানুষ নিহতের পর দুদিনের হামলায় এত বেশি মানুষ নিহত হলেন।
সংস্থাটি বলছে, বিমান হামলায় শুধু সোমবারই একশ ছয় জন নিহত হন। যার মধ্যে ২০ শিশু ছিল। এরপরদিনও হামলা অব্যাহত থাকায় শিশুসহ মৃত্যের সংখ্যা আড়াই শ ছাড়ায়।
সিরিয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মী প্যানোস মোমতিস আলজাজিরাকে জানান, অতি বীভৎস ও ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা ঘটেছে। দু’দিনে ওই এলাকার ৬টি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।
শ্যামস নামে এক নারী আলজাজিরাকে বলেন, আমরা প্রত্যেকটা মুহূর্তে আতঙ্কে আছি। আমার প্রতিবেশীদের অনেকের করুণ পরিণতি প্রত্যাক্ষ করেছি। হামলা কোনোভাবেই থামছে না । আমাদের কী পরিণতি হবে বুঝতে পারছি না। তারা বিমান হামলার পাশাপাশি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে।
খালিদ আবুলাবেদ নামে একজন ডাক্তার বলেন, ২০১৩ সালের পর এমন ভয়ঙ্কর ও বিপর্যয়কর পরিস্থিতি দেখা যায়নি। বাসস্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মার্কেট সবই হামলার স্বীকার হয়েছে।
এলাকাটিতে দেশটির সেনাবাহিনী স্থলপথে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হল।
ঘৌটা এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বাস করে। ২০১৩ সাল থেকে বিদ্রোহীরা এলাকাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। রাজধানী দামেস্কের অদূরে শুধু এই এলাকাটিই বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
ঘৌটার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য সিরিয়ার সরকারি বাহিনী চলতি মাসের প্রথম থেকেই অভিযান শুরু করে।
সারাবাংলা/আইএ