বিজ্ঞাপন

সুপ্রিম কোর্টে অনিয়মের অভিযোগ পেতে প্রধান বিচারপতির অপেক্ষা

February 18, 2018 | 9:49 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির লিখিত বক্তব্য পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

রোববার সন্ধ্যায় প্রয়াত রাজনীতিক, আইনজীবী ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই নিজের আগ্রহ ও অপেক্ষার কথা জানান প্রধান বিচারপতি।

গত ২ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম কোনো উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে এলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শওকত আলী খান’স অ্যাসোসিয়েটস। এতে সভাপতিত্ব করেন শওকত আলী খানের দৌহিত্র ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেহান হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘শওকত আলী খান সাহেব কিন্তু এই কোর্টের জন্য কারাবরণ করেছেন। এই স্মরণসভা সফল হবে যদি আমরা এই কোর্টের যত অনিয়ম আছে সেগুলো আমরা সম্মিলিতভাবে দূর করতে পারি।’

আইনজীবী সমিতির সভাপতির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের সম্মানিত সভাপতি সাহেব, উনি যেদিন ফরমালি আমার সাথে দেখা করেছেন, আমি বললাম যে, কোর্টের কোথায় কি অনিয়ম আছে সেটা আপনি বলেন। উনি বললেন, এখনতো আপনাকে বলা যাবে না, আমি লিখিত দেবো। আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কবে আমি সেই লিখিত বক্তব্য পাব তার তরফ থেকে।’

আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে শওকত আলীর নীতিনিষ্ঠ কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরে অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন ড. কামাল হোসেন, এম আমির উল ইসলাম, জমির উদ্দিন সরকার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাহারা খাতুন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক রাষ্ট্রদূত আনোয়ার হাসেম ও আইনজীবী কেএম সাইফুদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট আসমা আক্তার। ব্যারিস্টার শওকত আলী খানের জন্ম হয় ১৯২৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার কহেলা গ্রামে। তিনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম আরফান খানের দ্বিতীয় ছেলে। তার শৈশব এবং কৈশোরের কিছু সময় র্যাঙ্গুন (মিয়ানমার), কলকাতা ও ঢাকা শহরে কাটে।

ব্যারিস্টার শওকত ১৯৫৭ সালে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতেও ছিলেন। আইনি পেশায় ১৯৯৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হন। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে বামপন্থী রাজনীতি করলেও স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা উত্তর সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য ও আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর এবং মির্জাপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। শওকত আলী খান ১৯৫৯ সালে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার জ্যেষ্ঠ মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ২০০৬ সালের ২৯ জুন তিনি মারা যান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএ/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন