বিজ্ঞাপন

সূর্যমণি বধ্যভূমি নির্মাণ সামগ্রীর দখলে

March 19, 2019 | 4:48 am

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গণহত্যায় ২২ শহীদের গণসমাধিস্থলের আশপাশ জুড়ে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। এতে নষ্ট হচ্ছে বধ্যভূমির পরিবেশ। বধ্যভূমি সংলগ্ন একটি প্রকল্পের নির্মাণ সামগ্রী যেখানে সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বধ্যভূমির সুরক্ষা ওয়াল ও গেট ভেঙে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ সামগ্রী যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। ওই বধ্যভূমির সামনে বেড়িবাঁধের উল্টো দিকে কৃষিজমির বিশাল এলাকা জুড়ে মঠবাড়িয়া পৌরশহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের নানা স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এডিবির অর্থায়নে ওই পানি সরবরাহ প্রকল্পটি সিনোকনস্ট ও এএসএস কনসোর্টিয়াম যৌথভাবে এ প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ করছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প এলাকা বাইরে বধ্যভূমির ভেতরে গত ছয়মাস ধরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখে বধ্যভূমিটির পরিবেশ ও পবিত্রতা বিনষ্ট করে। এমনকি বধ্যভূমির ১০ শতাংশ জমির ভেতরের পূর্বাংশে জমি দখল করে ওই প্রকল্পের একটি পাম্পহাউজ নির্মাণের জন্য গত ১০/১২ দিন আগে বধ্যভূমির জমিতে বোরিং করে। ফলে পুরো বধ্যভূমি অরক্ষিত হয়ে পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম জালাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বধ্যভূমি মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পবিত্র স্থান। সেখানে শহীদ বেদি ও গণসমাধির স্থানের পরিবেশ সুরক্ষার দায়িত্ব সকলের। কিন্তু এভাবে বধ্যভূমির পরিবেশ নষ্ট করা দুঃখজনক।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. বাচ্চু মিয়া আকন বলেন, ‘নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে বধ্যভূমির পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে বলা হয়েছে। এখনও ব্যবস্থা না নিলে ফের সরেজমিনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্যাবস্থাপক জিএম সরফরাজ বলেন, ‘বধ্যভূমির ভেতর অংশে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে পরিবেশ বিনস্টের অভিযোগ পেয়ে দুইজন মুক্তিযোদ্ধাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালে ৬ অক্টোবর ভোরে মঠবাড়িয়ার আঙ্গুলকাটা গ্রামের ৩০ হিন্দু বাঙালিকে ধরপাকড় করে স্থানীয় সংগঠিত রাজাকার বাহিনী। এরপর সূর্যমণি গ্রামের বেড়িবাধ সংলগ্ন স্লুইসগেটে একদড়িতে বেধে ৩০ বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে ২২ জনের লাশ সূর্যমণি বেড়িবাঁধের পাড়ে গণসৎকার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন