বিজ্ঞাপন

সোনারগাঁওয়ের আগাম লিচু

May 11, 2018 | 10:27 pm

।। হাবিবুর রহমান, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের প্রতিটি লিচু বাগানের ডালে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে টসটসে পাকা লিচু। এরই মধ্যে বাজারেও আসতে শুরু করেছে সেখানকার লিচু।

রাজশাহী ও দিনাজপুরসহ দেশের অন্যান্য স্থানের লিচুর আগেই পেকে যায় সোনারগাঁয়ের লিচু। আগাম বাজারে আসে বলে সোনারগাঁওয়ের লিচুর রয়েছে বিশেষ কদর। এই অঞ্চলের লিচু যেমন সুস্বাদু তেমনি মিষ্টও বটে। সারাদেশের ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে সোনারগাঁওয়ে এসে বাগান থেকে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

সোনারগাঁওয়ে লিচুর চাষ শুরু হয়েছে প্রায় ১৭০০ সাল থেকে। লিচু চাষের জন্য আবহাওয়া উপযুক্ত হওয়ায় সেখানে প্রায় তিন শতাধিক ছোট-বড় লিচু বাগান তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত লিচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সেখানকার কৃষকরা।

সোনারগাঁওয়ে সাধারণত তিন প্রজাতির লিচুর চাষ হয়। এগুলোর মধ্যে আছে- পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচু। দেশের অনেক জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্যের কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু আগে পেকে থাকে।

বিজ্ঞাপন

বোম্বাই আর কদমী লিচুর চেয়ে এর স্বাদ একটু কম হলেও প্রথমে বাজার ধরার কারণে চাষিরা এ লিচুর দাম পায় বেশি। পাতি লিচুর পর বাজারে বিক্রি শুরু হয় সুস্বাদু কদমী লিচু।

একেবারে শেষ দিকে পাওয়া যায় বোম্বাই জাতের লিচু। সোনারগাঁয়ের ৩ প্রজাতির লিচুর মধ্যে লিচু চাষিরা কদমী লিচু বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এ জাতের লিচু আকারে বড় এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। অনেকে আকারে বড় হওয়ার কারণে কদমী লিচুকে দিল্লীকা লাড্ডু হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ব্যবসায়ীরা সাধারণত এক শ কদমী লিচু দুই শ থেকে চার শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

সোনারগাঁয়ে লিচুকে ঘিরে ভ্রমণ পিপাসুরাও ছুটছেন সোনারগাঁয়ে। একদিকে বেড়ানো, অন্যদিকে লিচু কেনা এ যেন একসঙ্গে রথ দেখা আর কলা বেঁচার মতো।

জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার খাসনগর, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, পানাম, নোয়াইল, দত্তপাড়া, বাগমুছা, অর্জুন্দী, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ভট্টপুর, লোকশিল্প জাদুঘর, গোবিন্দ্রপুর, গাবতলী, হারিয়া, বৈদ্যেরবাজার, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, দুলালপুর, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়া দিঘীরপাড়সহ ৬০টি গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক লিচু বাগান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশেক পারভেজ জানান, সোনারগাঁয়ে লিচু পাকার জন্য চাষিরা কোনো কিটনাশক ঔষধ প্রয়োগ করে না। তবে, লিচু বড় হওয়ার ক্ষেত্রে হরমন জাতীয় ঔষধ, লিচুর কালার নষ্ট না হওয়ার জন্য ছত্রাকনাশক ও পোকার উপদ্রব বন্ধ করার জন্য তারা কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ করে থাকেন। তবে এসব কীটনাশক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার কথা নয়।

ছবি: হাবিবুর রহমান।

সারাবাংলা/এইচআর/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন