বিজ্ঞাপন

সৌম্যজিতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে

March 24, 2018 | 4:28 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় টেবিল টেনিস তারকা এবং অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত খেলোয়াড় সৌম্যজিত ঘোষের বিরুদ্ধে প্রোটেকশন অফ চাইল্ড ফ্রম সেক্সচুয়াল অফেন্স আইনে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত আদালতে। ফলে, সৌম্যজিতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস থেকে। এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেবিল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (টিটিএফআই)৷

বাঙ্গালী টেনিস খেলোয়াড় সৌম্যজিতের বদলে কমনওয়েলথ গেমসের দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে শানিল শেট্টিকে। ৪ এপ্রিল থেকে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে শুরু হচ্ছে ২১তম কমনওয়েলথ গেমস।

এদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ভারতের তারকা খেলোয়াড় সৌম্যজিতের। পুলিশি তদন্ত ও আদালতের রায় বের হওয়া না পর্যন্ত সৌম্যজিত কোনো আন্তর্জাতিক ও দেশের ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না। এর আগে লন্ডন ও রিও অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

গত বুধবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় বারাসতের মহিলা থানায় অভিযোগ করেছেন বারাসতের এক তরুণী। সৌম্যজিতের পাশাপাশি তার ঘনিষ্ট আরও চার জনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও করেছেন ঐ তরুণী। ইতোমধ্যেই ঐ তরুণীর ডাক্তারি পরিক্ষা করা হয়েছে। জেলাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে সারাবাংলাকে জানান, একটা অভিযোগ সৌম্যজিত ঘোষের বিরুদ্ধে হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

কলকাতা সংলগ্ন বারাসতের বাসিন্দা ঐ তরুণীর বাবা অভিজিত দত্ত সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের। আমার মেয়ে ছোটো থাকতেই টেবিল টেনিস খেলতো। সেই সূত্র ধরেই মেয়ের সঙ্গে সৌম্যজিতের সম্পর্ক আরো গাড়ো হয়ে ওঠে। তাদের শিলিগুড়ি এবং কলকাতার বাঘাযতিনের ফ্ল্যাটে সৌম্যজিতের আসা যাওয়া ছিল। দুই পরিবার বিয়ের জন্য রাজি থাকলেও মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় বিয়েটা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সৌম্যজিতের সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক ছিল আমার মেয়ের।

২০১৬ সালে শিলিগুড়ির গাজলডোবার একটা মন্দিরে দুই পরিবারের উপস্থিতে সৌম্যজিত এবং ঐ তরুণীর বাগদান পর্বও হয়ে যায় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। অভিজিত দত্তের অভিযোগ নাবালিকা বয়সে মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল টেবিল টেনিস তারকা সৌম্যজিত ঘোষ। নাবালিকা অবস্থাতেই বারাসত কাঠগোলার বাসিন্দা ঐ তরুণী অন্তস্বত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টা প্রথমে জানতে পারেনি মেয়ের পরিবার। বেশ কিছুদিন পরে মেয়ের কাছ থেকেই জানতে পারেন তার বাবা-মা। তরুণীর বাবা জানান, সৌম্যজিত এবং তার পরিবার তার মেয়ের জোর করে গর্ভপাত করিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

শিলিগুড়ির এই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৪১৭ ( প্রতারণা), ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং পকসো আইনের ৪ নম্বর ধারায় (নাবালিকার যৌন নির্যাতন) মামলা দায়ের করা হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের পাশাপাশি বলপূর্বক গর্ভপাতেরও অভিযোগ দায়ের হয়েছে সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে। তবে ফোন বন্ধ করে রাখায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত ভারতের তারকা খেলোয়াড় সৌম্যজিতের।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন