বিজ্ঞাপন

‘স্নায়ুচাপটা’ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন মাশরাফি

January 26, 2018 | 7:10 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

দুঃস্বপ্নের ঘোর সাধারণত কতক্ষণ থাকে? বাংলাদেশ দলের অবশ্য এখন তা নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে থাকার সময় নেই। ৮২ রানের সেই বিপর্যয়টা চাপা দিয়ে আবার নেমে পড়তে হয়েছে অনুশীলনে। ফাইনালের আগে তো তা কর‍তেই হবে! তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা বরং মুদ্রার উল্টো পিঠটাই দেখছেন। ফাইনালের আগে এভাবে হারাটা বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে তাই গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার একটা উপলক্ষই।

প্রথম তিন ম্যাচ জেতায় বাংলাদেশ যদি একটু বেশি গা এলিয়েই থাকে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটা ছিল জেগে ওঠার একটা ডাক। শ্রীলঙ্কা যেভাবে পরিকল্পনা করে জিতেছে, সেটাও ছিল আরেকটা সতর্কবার্তা।

মাশরাফি অবশ্য বলছেন, একটা ম্যাচ হেরেই রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলার দরকার নেই। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম ম্যাচেই সেই মানসিকতাই ফিরে যেতে চান, ‘নতুন কিছু খুব বেশি কিছু বলার নেই। অবশ্য কথা তো হয়েছেই। কালকেও বলেছি, এভাবে হার আমরা চাইনি। ওই ব্যাপারটা মনে করে মাঠে নামা কঠিন। সবার কাছে বার্তা ছিল, পজিটিভ থাকতে। প্রথম ম্যাচে যে মাইন্ডসেট ছিল কালও সেটা নিয়ে মাঠে নামতে। এমন না যে একটা খারাপ গেছে বলে নেগেটিভ চিন্তা করব। বা যে গেমপ্ল্যান ছিল সেখান থেকে বেরিয়ে আসব। প্রথম ম্যাচে যে মাইন্ডসেট ছিল ওটা নিয়েই খেলার চেষ্টা করব।’

বিজ্ঞাপন

কালকের ম্যাচে যা হয়েছে, তাতে ফাইনালে নির্ভার থাকার কোনো সুযোগই নেই। বরং নিজেদের দুর্বলতার জায়গাগুলো আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে চাইবে বাংলাদেশ। মাশরাফি এই বাড়তি চাপটাই দেখছেন শক্তি হিসেবে, ‘আগে এমনিতেই চাপ থাকবে। ফাইনালের আগে হারায় ওইদিক থেকে সমতায় এসেছে। সবাই মাঠে আরেকটু চিন্তায় থাকতে পারে মাঠে। এটাকে আমি ভালোভাবে দেখি কারণ এতে সবাই আরও সতর্ক থাকবে। মানুষ সব সময় চায় না যে রিলাক্স থাকতে। রিলাক্স কিন্তু অনেক সময় পারফর্ম করতে অসুবিধাও করে। টেনসড থাকা অনেক সময় কাজে দেয়। এই দিক থেকে কালকের হারটা আমাদের কাছে ইতিবাচক হিসেবে এসেছে।’

কালকের ম্যাচটা তাই একটা দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখছেন মাশরাফি, ‘৭০, ৮০, ৯০ রানে যদি আমরা প্রতিদিন অলআউট হই, তখন হয়তো আমাদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এখন ৮০ রানে অলআউট হবার পর আমি যদি ভাবি যে কালকেও দেড়শো রানে অলআউট হবো, তাহলে তো আসলে আমরা যে পরের ধাপে যেতে চাচ্ছি, সেটা থেকে কিন্তু অনেক দূরে চলে যাবো। তাই আমি মনে করি যে ইতিবাচক চিন্তা করাই উচিত। একটা দুর্ঘটনা হয়েছে, এটাই।’

আর একটা ম্যাচের পরেই খুব বেশি অদল বদলের পক্ষপাতী নন মাশরাফি, ‘স্পিনার একজন থাকবেই। বাড়তি স্পিনার কাম ব্যাটসম্যান নাসির খেলেছে। এখন কে আসবে তা নিশ্চিত নয়। আর চারটা পেসার না তিনটা পেসার এখানে অবশ্যই আলোচনার ব্যাপার আছে। তবে আমরা একটা ম্যাচ হারার পর পুরো ব্যাপারটা এলোমেলো করার ইচ্ছা নাই। চার পেসারের জায়গায় এমন না যে একজন ব্যাটসম্যান বাড়িয়ে দেব।’

বিজ্ঞাপন

তবে সবকিছুর পর প্রেরণা দেওয়ার কাজটা করতে হবে মাশরাফিকেই।

সারাবাংলা/ এএম/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন