বিজ্ঞাপন

স্পন্সর নেই দাবায়, নিজ উদ্যোগে অলিম্পিয়াড, লক্ষ্য ৫০

September 21, 2018 | 1:29 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বহুদিন থেকেই অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি নিচ্ছে দাবাড়ুরা। জর্জিয়ায় বসা ৪৩ তম দাবা অলিম্পিয়াডকে সামনে রেখে লালস-সবুজরা তুলনামূলক ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন এবার। রুশ কোচ ইগর রাউসিসের অধীনে ৯০দিনের মতো অনুশীলন করেছেন দাবাড়ুরা। তবে, জর্জিয়া যেতে কোন স্পন্সর নেই। নিজ উদ্যোগেই পুরো দল নিয়ে জর্জিয়া সফরে ফেডারেশন।

অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে সব মিলে ২৯ লাখ টাকার পুরোটাই ব্যয় করছে ফেডারেশন। বহুদিনের পরিশ্রমের ভালো ফল আশা করছে দেশের দাবা অভিভাবক। এই অলিম্পিয়াডে অন্তত ৫০ ঘরে থাকতে চায় তারা। যদিও এ সফরে দেশের পাঁচ গ্রান্ডমাস্টারের কেউ নেই। মেয়েদের কাছে আশা ৫০-৬০-এর মধ্যে থাকলেই হবে।

জর্জিয়ার বাতুমি শহরে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৩তম বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াড। চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। আজ রওয়ানা হচ্ছে ১৮ সদস্যের বাংলাদেশ দল।

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন দাবা ফেডারেশন সেক্রেটারি সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। কোচ রাউসিস অবশ্য ‘ভালো রেজাল্ট করব’ এর মধ্যেই নিজের বক্তব্যকে সীমাবদ্ধ রাখলেন। বলেন আমার লক্ষ্য টিম রেজাল্ট। রাউসিস আবার দলের অধিনায়কও।

দাবা অলিম্পিয়াডের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেরা রেজাল্ট ২০১২ সালে। সেবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ৩৩তম হয়েছিলেন জিয়া-নিয়াজরা। সে আসরে বাংলাদেশের পাঁচ গ্র্যান্ডমাস্টারই অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এবার নেই নিয়াজ মোর্শেদ ও রিফাত বিন সাত্তার। ফেডারেশনের নিয়মানুযায়ী জাতীয় দাবায় অংশ না নিলে কোনো দাবাড়–কে অলিম্পিয়াডের দলে নেয়া হয় না। নিয়াজ ও রিফাত গত জাতীয় দাবায় খেলেননি। তাই এই দুই গ্র্যান্ডমাস্টারকে বাদ দেয়া হয়েছে। অন্য তিন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, আবদুল্লাহ আল রাকিব, এনামুল হোসেন রাজীরের সাথে জর্জিয়া যাচ্ছেন দুই ফিদে মাস্টার ফাহাদ রহমান এবং খন্দকার আমিনুল ইসলাম।

গত ন্যাশনালের সেরা পাঁচ দাবাড়ু– তারা। পাঁচ মহিলা দাবাড়ু– হলেন আন্তর্র্জাতিক মহিলা মাস্টার রানী হামিদ, শামীমা আক্তার লিজা, মহিলা ফিদে মাস্টার শামীমা শারমিন শিরিন, তনিমা পারভীন ও জাকিয়া সুলতানা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ সর্বশেষ দুই দাবা অলিম্পিয়াডে শেষ ম্যাচে হেরে বেশ পিছিয়ে পড়ে। ২০১৪ সালে শেষ ম্যাচে তাদের হার সুইডেনের কাছে। ২০১৬তে পরাজয় দুর্বল কাতারের কাছে। এতে ৭৬তম স্থানে চলে যায় পুরুষ দল। ২০১২তে বসনিয়া-হার্জেগোভেনিয়াকে হারিয়ে ৩৩তম স্থান পাওয়া।

এবার বাংলাদেশ পুরুষ দলে পাঁচ গ্র্যান্ডমাস্টারের দুইজন না থাকলেও ফিদে মাস্টার ফাহাদ রহমানকে নিয়ে দারুণ আশাবাদ ফেডারেশন সেক্রেটারি এবং কোচ রাউসিসের। ক’দিন আগে চট্টগ্রামের গ্র্যান্ড মাস্টার দাবায় ফাহাদ দেশী-বিদেশী তিন গ্র্যান্ড মাস্টারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। এখনো তার আন্তর্জাতিক মাস্টার (আইএম) নর্ম নেই।

কিন্তু চট্টগ্রামের আসরে তিনি অল্পের জন্য মিস করেন জি এম নর্ম। ভারতের দাবাড়ু–কে হারানোর পর তিনি যদি নেপাল বা মালয়েশিয়ার দাবাড়ু–কে পেতেন এবং তাদেরকে হারাতে সক্ষম হতেন তাহলে মিলে যেত জি এম নর্ম। কিন্তু আগেই হেরে বসেন ওই দুই দেশের দাবাড়ু–রা। ফলে তাদেরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাননি ফাহাদ। নিয়ম হলো কমপক্ষে দু’টি ভিন্ন দেশের দাবাড়ুকে হারাতে হয়। তবে এবার ফাহাদের সামনে সরাসরি জি এম নর্ম পাওয়ার সুযোগ দাবা অলিম্পিয়াডে। আশাবাদ ইগর রাউসিসের। তিন নম্বর বোর্ডে খেলবেন ফাহাদ।

এই বোর্ডে সাধারণত অন্য দেশের ভালো দাবাড়ু–রা (গ্র্যান্ড মাস্টার) অংশ নেয় জেতার জন্য। তাই ফাহাদ যদি তার বোর্ডে বিদেশী জি এমদের হারাতে পারেন তাহলে নর্ম মিলতে পারে। জানান কোচ। এ দিকে রাউসিসের অধীনে কোচিং করে চট্টগ্রামে শিরোপা জিতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়া ফাহাদ দাবা অলিম্পিয়াডেও ভালো করতে চান বলে জানালেন। তার বক্তব্য, এই প্রথম অলিম্পিয়াডে অংশ নিচ্ছি। আমার সতীর্থরা জি এম হওয়ায় আমি বেশ উপভোগ করছি। কোনো চাপ অনুভব করছি না।

বিজ্ঞাপন

ফাহাদকে সুযোগ দিতে গ্র্যান্ডমাস্টার রাজীব তিন নম্বর বোর্ড ছেড়ে দিয়েছেন। রাজীবই এই তথ্য দিলেন।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন