বিজ্ঞাপন

স্বর্ণ নীতিমালা অনুমোদন

May 23, 2018 | 4:29 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক স্বর্ণ আমদানি করতে ডিলার নিয়োগ দেবে। এই ডিলাররা স্বর্ণ অামদানি করবে। বুধবার  (২৩ মে) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চোরাচালান বন্ধ করতেই এই নীতিমালা করা হয়েছে। এর ফলে দেশের স্বর্ণ ব্যবসা একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আসবে। প্রস্তাবিত স্বর্ণ নীতিমালার কাঠামোতে বাংলাদেশের স্বর্ণখাতের ব্যবসা, ক্রয়-বিক্রয়, সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ চাহিদা, আমদানি-রফতানি, স্বর্ণমাণ, ভোক্তাস্বার্থ সংরক্ষণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’

‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮-এর খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর সর্বনিম্ন ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টন পর্যন্ত স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে তিন থেকে চার টন স্বর্ণ বৈধপথে আমদানি হয়, বাকিটা আসে অবৈধ পথে।

বিজ্ঞাপন

নতুন নীতিমালায় স্বর্ণ আমদানিতে বন্ড সুবিধা থাকছে। আমদানি করে দেশের ভেতর অলঙ্কার বানিয়ে তা বিদেশে রফতানি উন্মুক্ত করতে এ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের রফতানিকারকদের নগদ প্রণোদনাসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমিও বরাদ্দ দেয়া হবে। এ ছাড়া অলঙ্কার তৈরি করে যারা দেশের মানুষের কাছে বিক্রি করবে, তারাও আমদানি করা স্বর্ণ ব্যবহার করতে পারবে।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়, অনুমোদিত ডিলার সরাসরি স্বর্ণের বার আমদানি করতে পারবে। তবে ডিলার স্বর্ণের বার ছাড়া কোনো স্বর্ণালঙ্কার বা অন্য কোনো ভাবেই স্বর্ণ আমদানি করতে পারবে না। স্বর্ণের বার আমদানির সময় ডিলার বন্ড সুবিধা নিতে পারবে। এসব ডিলার স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বর্ণের বার বিক্রি করবে।

তবে স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া চাহিদার বিপরীতে স্বর্ণের বার আমদানির আগে সম্ভাব্য কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়ে ওই খরচ পরিশোধের বিষয়ে অনাপত্তি নেবে। বৈদেশিক মুদ্রা বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অনাপত্তি বিষয়ে অবহিত করবে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারীকে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে এবং মূসক (মূল্য সংযোজন কর) নিবন্ধিত হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন