বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যসম্মত মাসিক ব্যবস্থাপনা করার তাগিদ

May 28, 2018 | 11:00 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মাসিক একটি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বিষয়, কিন্তু এ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করার চর্চা আমাদের সমাজে নেই। যার ফলে, মাসিক নিয়ে সামাজিক বিধিনিষেধ, ভুল ধারণা ও রীতিনীতি নারী ও কিশোরীদের ওপর মানসিক ও শারীরিকভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

সঠিক তথ্যের ঘাটতি এবং কুসংস্কার মেয়েদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই, নারী ও কিশোরীদের আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে চলার পথে এই বাধাগুলো পেরিয়ে মাসিক নিয়ে কথা বলা ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মাসিক ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন।

সোমবার (২৮ মে) সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবসে এসব কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা। এবারের দিবসের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ছিল ‘আর নয় বাধা: সঠিক স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে নারী ও কিশোরীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করি।’

বিজ্ঞাপন

প্রথমবারের মতো ইউনিসেফ বাংলাদেশ, অ্যামবাসি অব দ্য কিংডম অব দ্য নেদারল্যান্ডস, সিমাভি, রেড অরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস্, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ব্রাক, আইসিডিডিআরবি, আরএইচস্টেপ, বিএনপিএস, ডর্প এবং স্কয়ারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে জাতীয় পর্যায়ে দিবসটি উদযাপন করে।

ঋতুকালীন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সরকারি, বেসরকারি ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল বলেও জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

রেড অরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী তার বক্তব্যে বলেন, মাসিক একটি স্বাভাবিক বিষয় হলেও তাবে আমরা সমস্যায় পরিণত করেছি। সরকার স্কুলগুলোকে মাসিকবান্ধব করে তুলতে প্রজ্ঞাপণ জারি করলেও বাস্তবতা বেশ ভিন্ন। ৪০ শতাংশ মেয়েরাই মাসিকের সময় স্কুলে আসতে চায় না, এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের বলেন, মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা খুবই দরকার।

ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ সীমা সেন গুপ্তা বলেন, মাসিক নিয়ে কথা বলতে হলে যে বিষয়গুলো চলে আসে তা সামাজিক নানা আচার ব্যবস্থা ও দীর্ঘদিন ধরে চর্চা হয়ে আসা বিষয়গুলো উঠে আসে যার পরিবর্তন গোড়া থেকে করতে হবে আর এজন্য নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের, ধর্মীয় নেতাদের ও সমাজের সবার অংশগ্রহন জরুরি।

ডিরেক্টরেট অব সেকেন্ডারি অ্যান্ড হাইয়ার অ্যাডুকেশন-এর পরিচালক (প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, স্কুলে যেন মাসিকের প্যাড ফেলার ব্যবস্থা থাকে সে বিষয়ে কাজ করবে সরকার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএ/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন