বিজ্ঞাপন

স্মরণ : কতোটা আছেন বুলবুল আহমেদ

July 15, 2018 | 5:39 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

বাংলা চলচ্চিত্রে বুলবুল আহমেদের আগমন ধুমকেতুর মতো। অতিমানবীয় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন পর্দায়। আর সেকারণে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ‘মহানায়ক’ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত।

আজ (১৫ জুলাই) বাংলা চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি নায়কের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১০ সালের আজকের এই দিনে প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুর পর এতোগুলো বছর পার হওয়ার পরও এদেশের মানুষ ভোলেনি তাকে। ভোলার কথাও নয়। তার মতো সুদর্শন, মিষ্টভাষী অভিনেতা খুব কমই এসেছে অভিনয় জগতে।

বুলবুল আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে পারিবারিকভাবে দোয়া মাহফিল, কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়। খাওয়ানো হয় এতিম বাচ্চাদের।

বিজ্ঞাপন

মেয়ে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে বুলবুল আহমেদ

বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে মেয়ে ঐন্দ্রিলা আহমেদ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। রোমন্থন করছেন বাবার সঙ্গে তার বিভিন্ন স্মৃতি।

এত স্মৃতি তো আর বলে শেষ করা যায় না। অনেক গল্প থেকে কিছু কিছু গল্প শুনিয়েছেন তিনি। আর বিশেষ করে জানিয়েছেন বাবার স্মৃতি রক্ষার কথা। ঐন্দ্রিলা সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাবা বেঁচে থাকতে ‘‘এক জীবন্ত কিংবদন্তির কথা’’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র করেছিলাম। পরে বায়োগ্রাফি লিখলাম ‘‘মহানায়কের কথা’’। ‘‘বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশন’’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব জায়গা থেকে বিভিন্ন কাজ করা হবে। সংরক্ষণ করা হবে বাবার কাজগুলো।’

বুলবুল আহমেদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ত্রয়ীচিত্র’। এই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘এখান থেকে নতুন করে কাজ শুরু করেছি। নিয়মিত নাটক নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে।’

বিজ্ঞাপন

‘সূর্য কন্যা’ ছবিতে সহশিল্পীর সঙ্গে বুলবুল আহমেদ

বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) তে বুলবুল আহমেদের নামে কোনো শুটিং ফ্লোর নেই। সেটা থাকলে  বুলবুল আহমেদের স্মৃতি রক্ষার্থে বড় ভূমিকা পালন করতো বলে মনে করেন তিনি।

ঐন্দ্রিলা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র আর্কাইভ আমাদের আলাদা জায়গা দেয়ার কথা বলেছে। সেখানে চলচ্চিত্রে বাবার অর্জন, তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষিত থাকবে। যদিও আমরা এখনও কাজ শুরু করতে পারিনি। কারণ, বাবার সব পুরস্কার আর্কাইভে দিয়ে দিলে আমাদের কাছে রাখার কিছু থাকবে না। এটা নিয়ে পারিবারিকভাবে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। তাই এর ভাবিষ্যৎ বলতে পারছি না।’

বুলবুল আহমেদ চলচ্চিত্রের মহানায়ক হলেও তার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল ছোটপর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে। ১৯৬৪ সালে আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘বরফ গলা নদী’ নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৭২ সালে আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন বুলবুল আহমেদ। ১৯৭৩ সালে আলমগীল কবির পরিচালিত ‘ইয়ে করে বিয়ে’ ছবিতে নায়ক হিসেবে দর্শকদের সামনে আসেন তিনি।

অভিনয়ের জন্য চারবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন বুলবুল আহমেদ। তার পরিচালিত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষী-শ্রীকান্ত’ অন্যতম।

বিজ্ঞাপন

ধীরে বহে মেঘনা, সূর্য কন্যা, সীমানা পেরিয়ে, রূপালী সৈকতে, মোহনা, দেবদাস ছবিগুলো দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে যেমন বেঁচে থাকবে তেমন বেঁচে থাকবেন বুলবুল আহমেদ, ইতিহাসে, মানুষের মনে।

সারাবাংলা/আরএসও/পিএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন