বিজ্ঞাপন

হকিতে দলবদলের হাওয়া, এগিয়ে আবাহনী

March 27, 2018 | 9:56 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সবশেষ সেই ২০১৬ সালে হকিতে লিগের দলবদল হয়েছিল। তারআগে তিন বছর স্থবির ছিল লিগ। এ বছর লিগ হবে হবে বলে কয়েকদফায় পেছানো হয়েছে তারিখ। তবে, আজকের দিনটা একটু অন্যরকমই কাটলো হকি পাড়ায়। দলবদলের হাওয়ায় হকিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

প্রথম দিনে দলবদলে এগিয়ে আছে ঢাকা আবাহনী। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় দলের একঝাঁক তারকা দলে ভেড়িয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। দলবদল করেছে অ্যাজাক্স ক্লাবও।

তরুণ উদীয়মানদের তুলে আনার লিগ শুরু হবে কয়েকদিন পর। দলবদলে তাই ক্লাবে চুক্তিরত খেলোয়াড়দের চোখে-মুখে হাসি। ‍কারণ জীবিকা অর্জনের একটাই লিগ দেশে। সেটি শুরু হওয়াতে খুশি সব খেলোয়াড়।

বিজ্ঞাপন

একঝাঁক জাতীয় দলের খেলোয়াড় দলে ভেড়িয়েছে আবাহনী। কীপার নিপ্পন, রক্ষণভাগ থেকে আক্রমনভাগে পরিক্ষীত খোরশেদুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, রুম্মন, সারোয়ার, কৃষ্ণা, তাহের আলী, বিকেএসপির চার রত্ন আরশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান, সবুজ ও মহসিনকে দলে ভিড়িয়েছে আবাহনী। আরো একটু চমক দেখিয়েছে সাবেক জাতীয় দলে আস্থার প্রতীক মুসাকে দলে খেলোয়াড় কাম সহকারি কোচ হিসেবে নাম লিখিয়ে।

সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রায় ৬ লাখ টাকা দিতে হয়েছে মেরিনার্স থেকে পিসি স্পেশালিষ্ট আশরাফুলকে দলের স্তম্ভ হিসেবে পেতে। তাছাড়া গড় পড়তা ৩-৫ লাখের মধ্যেই পেয়েছেন সকল খেলোয়াড়দের। আবাহনীর সর্বনিম্ন দুই লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে উঠতি প্লেয়ারদের দলে ভেড়াতে।

এবার নিয়ম হয়েছে ৭ জন বিদেশী দলে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে কিন্তু মাঠে চারজনের বেশি খেলতে পারবে না। সেহেতু এখনও কোনও বিদেশী প্লেয়ারের সাথে ফাইনাল কন্ট্রাক করেনি আবাহনীর কর্তারা।

বিজ্ঞাপন

আবাহনী হকি দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব এহসান রানা এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘বাংলাদেশে সাধারণত ভারত পাকিস্তান মালয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের আধিক্য থাকে। ওদিকেই আমাদের ঝুঁকতে হবে। এবার এশিয়ান গেমসের জন্য স্ব স্ব দেশের ক্যাম্পে রয়েছে বিধায় জাতীয় দলের প্লেয়ার পাওয়া যাবে না। ফলে এমন কাউকে আনতে হবে যারা লিগের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারবে। লিগের শেষ দিকে ইউরোপিয়ান প্লেয়ার আনার জন্যই ঝোক থাকবে বেশি।’

কোন দল যদি লিগে অংশ না নেয় (উষা কিংবা মোহামেডান) তাহলে আবাহনীর জন্য শিরোপা জয় সহজ হবে কিনা। এমন প্রশ্নে রানা বলেন, ‘অবশ্যই না। লিগে কে এলো আর কে এলো না, সেটি হিসেব করে আবাহনী দল গঠন করেনি। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই দল গড়েছি। তবে আশা করছি সকল দলই লিগে অংশ নিবে। সকল খেলোয়াড়দের ৯০ ভাগ পেমেন্ট হয়ে গেছে। যাতে তারা মন খুলে আবাহনীর জন্য খেলতে পারে।’

বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা কিংবা খেলোয়াড়রা লিগে ম্যাচ চলাকালিন আম্পায়ের উপর চড়াও হবে না- এটা যেন কল্পনারও অতীত। কর্মকর্তারা টেন্টে থেকেই উস্কানি দেন খেলোয়াড়দের। তাছাড়া গ্যালারীতে কিছু সাপোর্টার থাকেন যারা কিছু হলেই আম্পায়ারের চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করেন। এবার আম্পায়ারের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নিলেন।

জবাবে এহসান রানা বলেন, ‘আমাদের সেলিম লাকি ও শাহবাজ বিদেশে গিয়ে বাঁশি বাজান। কই কখনো তো তাদের নিয়ে সমালোচনা হয় না। আমাদের লিগে কেন হবে। তাদেরকে খাটোভাবে দেখার কোন অবকাশ নেই। আশা করবো সকল ক্লাবের অফিসিয়ালরা সহনশীল হবেন এবং আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার সাথেই মেনে নিবেন।’

বিজ্ঞাপন

আবাহনীতে যোগ দেয়া সারোয়ার হোসেন জানালেন, ‘এই একটি দিনের জন্য আমরা সারাবছর অপেক্ষা করি। যখন যেখানেই যাই, সেই ক্লাবের হয়েই সেরাটা দিতে চেস্টা করি। আমার মনে হয় সকল খেলোয়াড়রাই এটি করে থাকেন।’

দলবদলে যোগ দিয়েছেন অ্যাজাক্স এসসি। প্রথমদিনে তারা মাত্র চারজনকে দলে ভেড়াতে পেরেছেন। মুক্ত-বিহঙ্গ থেকে শিহাব, পিডব্লিউডি থেকে হৃদয়, ঊষা কেসি থেকে গোলাম এবং নতুন হিসেবে মেহরাব হোসেনকে দলে ভিড়িয়েছে অ্যাজাক্স।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন