বিজ্ঞাপন

হজের টিকেট নিয়ে নয়-ছয়ের শঙ্কা

June 5, 2018 | 10:34 pm

।। এম এ কে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রায় ৪৫ কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্যের আশায় আগামী হজের ৬৫ হাজার উড়োজাহাজের টিকেট নিয়ে নয়-ছয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে সৌদি এয়ারলাইন্স। এদিকে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ বাণিজ্যের বিষয়টি টের পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মহিবুল হক সারাবাংলাকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হজের টিকেট নিয়ে যাতে কোনো অপ্রীতিকর এবং সিন্ডিকেটেড কাজ না হয়, তা জানিয়ে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্সকে এরই মধ্যে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, হজের টিকেট নিয়ে কোনো সিন্ডিকেটেড ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে কোনো ধরণের ছাড় নেই। একটি এজেন্সির পক্ষ থেকে কোনভাবেই ৩০০টির বেশি টিকেট ইস্যুর সুযোগ দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হজের বিমান টিকেট সিন্ডিকেট বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চলতি বছর সৌদি এয়ারলাইন্স তাদের ৬৫ হাজার হাজার টিকেটের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার শানসাইন এক্সপ্রেস, ১৫ হাজার আল গাজী ট্রাভেলস ও ১০ হাজার কাজী এয়ারকে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কালপরশুর মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। বাকি ২০ হাজার টিকেট দেওয়া হবে ২৫ থেকে ২৭টি এজেন্সির মধ্যে।

গত বছরও এই তিনটি এজেন্সিকে যথাক্রমে ১৮ হাজারই শানসাইন এক্সপ্রেস, আল গাজী ট্রাভেলসকে ১০ হাজার ও কাজী এয়ারকে ৭ হাজার টিকেট দেওয়া হয়েছিল।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, হজের টিকেট নিয়ে এমন সিন্ডিকেট বাণিজ্য হলে ওই এজেন্সিরা টিকেট প্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা অবৈধভাবে মুনাফা অর্জন করবে। আর একজন হজের যাত্রীকে বাধ্য হয়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বাড়তি দামে টিকেট কিনতে হবে। এই হিসেবে সৌদি এয়ারলাইন্স এর এই সিন্ডিকেট প্রায় ৪৫ কোটি টাকার অবৈধ টিকেট বাণিজ্য করতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পাচ্ছেন। প্রচলিত নিয়মানুসারে, মোট হজ যাত্রীর শতকরা ৫০ভাগ রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং অবশিষ্ট যাত্রী সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে।

গত ২৪ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি এজেন্সি ৩০০ জনের বেশি হজযাত্রী পরিচালনা করতে পারবে না। সেই হিসেবে একটি এজেন্সি তার হজযাত্রীর জন্য সর্বোচ্চ ৩০০টি টিকেট নিতে পারবে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন