বিজ্ঞাপন

হল সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ভাংচুর

April 15, 2018 | 8:36 pm

।। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক।।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হলের নানা সমস্যার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না হওয়ায় ভাংচুর ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে হলের আবাসিক ছাত্ররা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ভাংচুরের ঘটনায় অংশ নেয়।

ছাত্রদের অভিযোগ আবাসিক হলের সংস্কার না হওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনসহ নানা অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না হওয়ায় এ ভাংচুর করেছে শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

ওই হলের আবাসিক ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই হল প্রভোস্টের কাছে সংস্কার, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ডাইনিং এ খাবারের মান বৃদ্ধি, ওয়াশরুমগুলোর সংস্কার, দেয়ালে রংকরা, নিরবিচ্ছিন্ন ওয়াইফাই, পাঠাগার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। তবে সে ব্যাপারে হলের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। গতকাল খাবারের ভিতরে জীবন্ত পোকা পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ আন্দোলন করেছে।’

ঘটনার বিষয়ে ডাইনিং কর্মচারী আব্দুল খালেক বলেন, ‘শনিবার এক শিক্ষার্থী খাবারের ভিতরে পোকা পায়। সে কিছু না বলেই টাকা দিয়ে ডাইনিং ত্যাগ করে। তবে আজকে এসে কিছু না বলেই খেতে বসে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ দিতে থাকেন। এ সময় ডাইনিং বন্ধ করতে বলেন অন্য শিক্ষার্থীরা। এর পর তারা চেয়ার-টেবিল ও বেসিন ভাঙচুর করে। এর পর তারা তালা আটকে বন্ধ করে দেয়। আমাদের চলে আসতে বলায় আমরা চলে এসেছি।’

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, ডাইনিং এর বেসিনগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। টেবিল চেয়ারগুলো ওল্টানো। ডাইনিং তালাবদ্ধ। পরে হলের প্রধান ফটক আটকে বিভিন্ন দাবি দাওয়া উপস্থাপন করতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

বেলা আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান ও হল প্রভোস্ট অধ্যাপক বিপুল কুমার বিশ্বাস।

এ সময় ছাত্ররা তাদের কাছে মানসম্ম খাবার, রিডিং রুমের ব্যবস্থা, ওয়াইফাই, ডাস্টবিন স্থাপন, পত্রিকা রুমের উন্নয়ন, ওয়াশরুম সংস্কার, গেমস রুমে পর্যাপ্ত উপকরণ, টিভি রুম সংস্কার, মসজিদে মাইক সংস্কার, টিউবওয়েলের ব্যবস্থা, কর্মকর্তা কর্মচারীদের শোভনীয় আচরণ, হলের ভেতরে আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থাসহ ১২টি দাবিতে একটি আবেদন করে শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি হলটি ঘুরে দেখেছি বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। হল প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে হলের সংস্কারের জন্য এবং আবারও সেখানে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবো বলেও জানিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে লতিফ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক বিপুল কুমার কুমার বিশ্বাস প্রক্টরের সঙ্গে একমত হয়ে আগামী ৫ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া পূরণ করার আশ্বাস দেন।

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন