বিজ্ঞাপন

হারদিক পান্ডের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

March 22, 2018 | 3:41 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় সংবিধানের রূপকার তথা দলিত নেতা ড. ভীমরাও আম্বেদকরের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরে ভারতের তারকা অলরাউন্ডার হারদিক পান্ডের বিরুদ্ধে এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজস্থানের যোধপুর আদালত। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এই এজাহারের মাধ্যমে থানায় মামলা করা হবে। কারণ, রাষ্ট্র পক্ষের যে কোনো মামলার আইনি প্রক্রিয়ার শুরু হয় এই এজহারের (এফআইআর) মাধ্যমে।

জাতপাত থেকে দলিত সম্প্রদায়কে চিরতরে মুক্তি দিতে ড. ভীমরাও বৌদ্ধধর্মের পুনর্জাগরণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাকে ভারতীয় সংবিধানের পিতা হিসেবেও অভিহিত করা হয়। স্বাধীন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনটি সর্ব ভারতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা তার অক্লান্ত প্রচেষ্টাতে সম্ভব হয়।

‘রাষ্ট্রীয় ভীম সেনা’ সদস্য তথা আইনজীবী ডিআর মেগওয়ালের দায়ের করা পিটিশনের ওপর ভিত্তি করেই হারদিকের বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দেন যোধপুরের বিশেষ আদালত।

বিজ্ঞাপন

হারদিকের বিরুদ্ধে কি ছিল অভিযোগ? রাজস্থানের আইনজীবী ডিআর মেগওয়ালের লিখিত অভিযোগে জানানো হয়, ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর হারদিক পান্ডে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে আম্বেদকরকে নিয়ে একটি টুইট করেন। এই টুইটে ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই তারকা লেখেন, ‘কোন আম্বেদকর? যিনি একটি পক্ষপাতদুষ্ট আইন এবং সংবিধান রচনা করেছেন, যিনি দেশে সংরক্ষণের বিষ ছড়িয়েছেন!’

প্রথমে হারদিকের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজস্থানে অবস্থিত জালোরের লুনি থানার দ্বারস্থ হন আইনজীবী ডিআর মেগওয়াল। পুলিশ কোনো রকম আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত রাজস্থান পুলিশকে হারদিক পান্ডের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন।

আইনজীবী মেগওয়াল জানিয়েছেন, ‘গত জানুয়ারিতে আমি হারদিকের এমন টুইটের ব্যাপারে জানতে পারি। ভারতের অনেকের আদর্শ আম্বেদকরের বিরুদ্ধে এমন সংবেদনশীল মন্তব্য করে হারদিক পান্ডে গুরুতর অপরাধ করেছে। তার এই মন্তব্যে দেশের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন