বিজ্ঞাপন

হাসিনা-মোদি বৈঠক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরব সমর্থন চাইবে ঢাকা

May 21, 2018 | 9:41 pm

।। এম এ কে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মে ভারত সফরে যাচ্ছেন। সফরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নয়াদিল্লির সরব সমর্থন চাইবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক কূটনৈতিক সূত্র।

এ ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারতের সমর্থনসহ দু’দেশের অমীমাংসিত বিষয় নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রী আলাপ করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে আগামী ২৫ মে দুদিনের ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পরদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

শান্তিনিকেতন সফরে উদয়ন গৃহে থাকবেন শেখ হাসিনা

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত সরকার বাংলাদেশকে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু এই সংকট সমাধানে ত্রাণ নয়, প্রয়োজন মিয়ানমারকে চাপে রাখা। সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপে রাখতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সরব সমর্থন চাইবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে, গত এপ্রিলে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেসব গোখলে ঢাকা সফর করেন। ওই সফরে ঢাকা-নয়াদিল্লির দ্বিপক্ষীয় বর্তমান সম্পর্ককে স্বর্ণযুগ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেসব গোখলে বলেন, ‘এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। উন্নয়নের স্বার্থে গতি শ্লথ করা যাবে না।’ অন্যদিকে, ঢাকার প্রধান সমস্যা তিস্তার পানি বণ্টন এবং রোহিঙ্গা সংকট। এই দুই সংকটের ‘তিস্তা’ ও ‘রোহিঙ্গা’ বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেসব গোখলে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা ও নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আগামী ২৫ মে’র ভারত সফরে দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর বাইরে আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলাপ করবেন। বিশেষ করে সার্কের (দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) বদলে বিমসটেককে (দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাত দেশের আঞ্চলিক জোট) কীভাবে কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে তাদের মধ্যে আলাপ হবে।

নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্ত সম্পর্ক গড়তে চায় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। ভারত চাচ্ছে আঞ্চলিক নেতৃত্বে তার অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে। বিশেষ করে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সাম্প্রতিককালের সম্পর্কের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ভারত। এই অঞ্চলের চালকের আসনটি অন্য কোনো দেশের হাতে দিতে চায় না মোদি সরকার। এ জন্য ছক কষে এগুচ্ছে ভারত সরকার।

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে গত এপ্রিলে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সফল বৈঠকের পর চলতি মাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাজা প্রসাদ শরমা অলির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক (২১ মে) করার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

ঢাকা ও নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, সার্কের বদলে বিমসটেককে কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত সমর্থন চায় নরেন্দ্র মোদি। এ জন্যই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় নয়া দিল্লি। যাতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠক করতে পারেন। আগামী জুন অথবা জুলাই মাসে নেপালে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সবশেষ ১৯ এপ্রিল লন্ডনে দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন